ব্ল্যাক হোল মহাকাশের এক অনন্ত বিস্ময়। ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর আসলে কী? ব্ল্যাক হোলকে যে রকম রহস্যময় বলে দেখানো হয় তারা কী সেরকমই? ব্ল্যাক হোল কি এক দানবীয় ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মত সব কিছুকে গ্রাস করে নিতে পারে? মহাবিশ্বে এদের জন্মই বা হয় কীভাবে? কতটুকুই বা জানেন বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে? আজকের থিংকের এই বিশেষ ভিডিওতে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিদ্যার গবেষক শৌনক বোস ব্যাখ্যা করেছেন রহস্যময় ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের জন্ম, বেড়ে ওঠা, মহাবিশ্ব জুড়ে তাদের নাচানাচিসহ আরও অনেক কিছু। আসুন, ডঃ শৌনক বোসের সাথে জেনে নেই ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের এই দুর্বোধ্য ব্যাপারগুলো, তথাকথিত এই 'ভয়াবহ' ব্ল্যাকহোলের রহস্য!
ভারী বস্তর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আলো বেঁকে যায়। কতটা, সেটা নির্ভর করে বস্তুর ভরের ওপর। ভর যত বেশি হবে, সেটা তত বেশি তার চারপাশের স্থানকালকে দুমড়ে-মুচড়ে দেবে। কৃষ্ণগহ্বরে স্থানকালের বক্রতা অসীম
ব্ল্যাকহোল এর ছবি। ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের ছবি কীভাবে তুললেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা? একটি কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোলের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় ঘটনা। ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ বিবর এর ছবি সরাসরি তোলা সম্ভব না, কারণ এর মহাকর্ষ এতই বেশি যে সেটা থেকে আলো পর্যন্ত বের হতে পারে না। একই মহকর্ষের জন্য আশেপাশের মহাকাশে যা আছে, এই কৃষ্ণ বিবর সেগুলিকে খেয়ে নিচ্ছে-মহাজাগতিক গ্যাস থেকে আমাদের সূর্যের চাইতেও বড় তারা গুলি এর পেটের ভেতরে হজম হয়ে যাচ্ছে। তাহলে এটা কিসের ছবি? কীভাবে তোলা হলো সেটা?