ভূ-তত্ত্ব | Geology
বাংলাদেশে গ্যাস পাওয়া যায়, অল্প কিছু তেলও পাওয়া যায় কিন্তু সোনা পাওয়া যায় না, এ নিয়ে অনেকের আক্ষেপ আছে। কেন একেক দেশে বা একেক অঞ্চলে একেক রকমের খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়? আমাদের দেশে সিলেটে গ্যাস, উত্তরবঙ্গের মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলা (গ্রানাইট), বড়পুকুরিয়ায় কয়লা পাওয়া যায়। কিন্তু সেটা আবার সারা দেশে পাওয়া যায় না। এই যেমন, বরিশালে কেন গ্রানাইট নেই? খুলনাতে কয়লা বা গ্যাস নেই কেন? সোনার খনিইবা নেই কেন বাংলাদেশে? দেশের প্রথম সিমেন্ট ফ্যাক্টরি কেন ছাতকে তৈরি হয়েছিল? ভোলাগঞ্জের পাথরগুলির রঙ সাদা কেন? মরুভূমিতে তেলের খনি মানে কি অতীতে সেখানে সমুদ্র ছিল? থিংকের আজকের নতুন ভিডিওতে পাওয়া যাবে এই সকল প্রশ্নের উত্তর।
ভূ-তত্ত্ব | Geology
জাকার্তা ডুবে যাচ্ছে, আশংকাজনক হারে ডেবে যাচ্ছে তার শহরের মাটি! আমরা জানি যে বাংলাদেশসহ বহু দেশ বা শহর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে গেলে বিপদে পড়বে! কিন্তু জাকার্তার ক্ষেত্রে সমুদ্র উচ্চতা বৃদ্ধি নয়, বরং প্রায়ই বন্যায় কবলিত হওয়া জাভা দ্বীপের এই ঐতিহাসিক নগরী ডুবে যাওয়ার কারণ পানির অভাব! আসুন, আজকে থিংকের নতুন ভিডিওতে আমরা খুঁজে বের করি কী এমন হচ্ছে শহরটিতে যে সমুদ্রবেষ্টিত, বহু নদী দিয়ে ঘেরা জাকার্তা পানির অভাবে ডুবতে বসেছে।
ভূ-তত্ত্ব | Geology
কীভাবে সৃষ্টি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বদ্বীপ, অর্থ্যাৎ আমাদের এই বঙ্গীয় বদ্বীপ? আমরা কি জানি বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ অংশের সৃষ্টির পিছনে লুকিয়ে আছে মহাদেশীয় পাতগুলোর ভয়ঙ্কর সব সংঘর্ষ, কোটি কোটি বছর ধরে ৪-৫টি মহাদেশ ও ভূখণ্ড থেকে আসা পলিমাটি আর পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালাসহ আরো অনেকগুলো পর্বতমালার জেগে ওঠার গল্প?
ভূ-তত্ত্ব | Geology
সুনামি কী? সুনামি কেন এবং কীভাবে সৃষ্টি হয়? সুনামিতে বাংলাদেশ কতখানি ঝুঁকির মধ্যে আছে? অনেকে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখেই ভাবেন এটাই বুঝি সুনামি। কিন্তু সুনামি আর জলোচ্ছ্বাস এক নয়। জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয় বায়ু প্রবাহের বা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে, আর সেটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বা দুটো ঢেউয়ের চূড়োর মধ্যে দূরত্ব থাকে কম, কিন্তু সুনামির ক্ষেত্রে এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্য হয় অনেক বেশি। সুনামি একটি জাপানি শব্দ, যার কাব্যিক পরিভাষা “বন্দরের উর্মিমালা বা ঢেউ।” সাগর কিংবা কোনও প্রকান্ড জলাধারে হঠাৎ কোনও দুর্যোগের ফলে যে ধারাবাহিক বিশালাকৃতির ঢেউ তৈরি হয় তাইই মূলত সুনামি। আসুন তাহলে আজকে থিংকের বন্ধু, Jacksonville State University র Professor এবং Emergency Management এর Department Head ড. তানভীর ইসলামের কাছ থেকে জেনে নিই সুনামির ভয়ঙ্কর শক্তি সম্পর্কে। আরও জেনে নিব সুনামি সম্পর্কিত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর।
ভূ-তত্ত্ব | Geology
এভারেস্ট! হিমালয়ের মাউন্ট এভারেস্টের চুড়োই পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিন্দু। হিমালয়ের বুকে এভারেস্টের এই সর্বোচ্চ বিন্দু হতে গিয়ে অতিবাহিত করতে হয়েছে কোটি কোটি বছর। পাচ কোটি বছর আগে ভারতীয় পাত এসে ইউরেশিয়া পাতকে যে বিপুল ধাক্কা দিয়েছিলো তার ফলশ্রুতিতেই আজকে এভারেস্টের উচ্চতা ২৯০৩২ ফুট। আর এই উচ্চতা প্রতি বছরই একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই ধাক্কার ফলে কীভাবে জন্ম হলো এভারেস্টের? আর কেনইবা এভারেস্ট প্রতি বছরই একটু একটু করে উচ্চতায় বাড়ছে? আজকের এই নতুন ভিডিওতে ভূতত্ত্বের প্রফেসর ড. নেপচুন শ্রীমালের সাথে আমরা জেনে নিবো এভারেস্ট সম্পর্কিত এই প্রশ্নগুলোর উত্তর।
ভূ-তত্ত্ব | Geology
মেরুর সব বরফ গলে গেলে কী হবে? জলবায়ু পরিবর্তন এর ফলে পৃথিবীর মেরুতে জমে থাকা বরফ গলে যেতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ বা নেদারল্যান্ডসের মত নিম্নাঞ্চলের দেশগুলো থেকে শুরু করে ডুবে যাচ্ছে নিউ ইয়র্ক, মায়ামি, জাকার্তা, ব্যাংকক, ভেনিস। কিন্তু এই নিম্নাঞ্চলগুলো ডুবে যাওয়া ছাড়াও মেরুর সব বরফ গলে গেলে আমাদের উপর নেমে আসবে আরো বড় ধরণের বিপর্যয়! আজ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘটছে তীব্র দাবানল, প্রবল বন্যা, দীর্ঘ খরা, পৃথিবীব্যাপি আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। সাইবেরিয়ায় অত্যন্ত দ্রুত গলতে থাকা পারমাফ্রস্ট, বা কানাডা- আমেরিকার পশ্চিম দিকে অবিশ্বাস্য রকমের গরমের সাথে অত্যন্ত দ্রুত হারে গলে যেতে শুরু করেছে মেরুর হিমবাহও। আজকের ভিডিওতে, আমেরিকার জ্যাক্সন-ভিল ইউনিভার্সিটির, ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্টের প্রফেসর এবং ডিপার্টমেন্টের প্রধান ড. তানভীর ইসলামের কাছ থেকে জেনে নিবো - মেরুর সব বরফ গলে গেলে কত বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে মানবসভ্যতা এবং সমগ্র জীবজগতের উপর।
ভূ-তত্ত্ব | Geology
ভূমিকম্প কী? ভূমিকম্প কীভাবে সৃষ্টি হয়? ভূমিকম্প কীভাবে পৃথিবীর সব মহাদেশেই কমবেশি ধ্বংসলীলা ঘটায়? তুলনামূলকভাবে কিছু অঞ্চলে ভূমিকম্পগুলো কেন মারাত্মক হয়? ২০০৪ সালে সুমাত্রার কাছে হওয়া ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে নাকি সারা পৃথিবী এক সেন্টিমিটার কেঁপে উঠেছিল! তা থেকে তৈরি ৩০ মিটার উঁচু সুনামির ঢেউয়ে মারা গিয়েছিল ২ লাখেরও বেশি মানুষ। এটি ছিল আমাদের রেকর্ড করা ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে তৃতীয় শক্তিশালী। কীভাবে ভূমিকম্প ঘটে এবং তার ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে? এর সাথে সুনামিরই বা কী সম্পর্ক? আজকে সিরিজের প্রথম ভিডিওতে, থিংকের বন্ধু ড. হাবিবুর রহমানের সাথে জেনে নেব এই প্রশ্নগুলোর উত্তর।
ভূ-তত্ত্ব | Geology
এভারেস্ট কি সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ? এভারেস্টের চুড়োই কি পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিন্দু? উত্তরটা হল -- হ্যাঁ এবং না, দুটোই। হ্যাঁ এবং না, দুটোই আবার এক সাথে হয় কীভাবে? এভারেস্ট সবচেয়ে উঁচু না হলে পৃথিবীতে কোথায় আছে এর চেয়েও উঁচু পর্বতশৃঙ্গ? চলুন, আজকে ভূতত্ত্বের প্রফেসর ড. নেপচুন শ্রীমালের সাথে আমরা জেনে নিই এভারেস্ট সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোর উত্তর।
ভূ-তত্ত্ব | Geology
মহাদেশ ভাঙা গড়ার ঘটনাকে বলা হয় পাত সঞ্চালন বা প্লেট টেকটনিক্স। পৃথিবীর ৭ টি মহাদেশ ক্রমাগতভাবে বদলে যাচ্ছে, অনবরত পরিবর্তিত হচ্ছে আমাদের পৃথিবীর চেহারা, সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন ভূখন্ড, পর্বতমালা, মহাসমুদ্র, মহাদেশ আর সেই সাথে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত বা সুনামির মত ভয়ংকর সব প্রাকৃতিক ধ্বংসযজ্ঞ। আজকে মহাদেশগুলোকে যেখানে দেখছেন তার কিছুই আগে এরকম ছিলনা, আমরা আজকে যাকে ভাবি ‘এখানে’ তা কিন্তু এখানে ছিল না, ছিল অন্য কোন খানে আর ভবিষ্যতেও 'এখানে' থাকবেনা। অর্থাৎ, এই যে আপনি, আমি যে মাটির উপর দাঁড়িয়ে আছি তা স্থির নয় - এই বিশাল মহাদেশগুলোকে জগদ্দল, নিরেট মনে হলেও, সবগুলো মহাদেশ সরছে খুব ধীরে - আমাদের আঙ্গুলের নখ যে-গতিতে বাড়ে ঠিক সেরকম ধীর গতিতে। আর তাদের এই ধীর কিন্তু পরাক্রমশালী সঞ্চালন থেকেই, গত প্রায় তিনশ’ কোটি বছর ধরে মহাদেশগুলো বারবার এক সাথে হয়ে গড়েছে সুপার-কন্টিনেন্ট বা সুপার মহাদেশ এবং তারপর এক সময় আবার আলাদা হয়ে গিয়ে তৈরি করেছে আজকের মত আলাদা আলাদা মহাদেশ, মহাসমুদ্র। আর সেই মহাদেশ ভাঙ্গা গড়ার প্রক্রিয়া ঘটে চলেছে আজও, একই গতিতে। থিংক ভিডিওতে আমরা জানবো মহাদেশের এই রূপ বদলের কাহিনি থিংকের বন্ধু ভূবিজ্ঞানী এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইডের আর্থ সাইন্সের প্রফেসর ডঃ নাইজেল হিউসের সাথে।