ব্ল্যাক হোল কী? ব্ল্যাক হোলের রহস্য জানুন I কৃষ্ণগহ্বর l Black hole | Think Bangla

.

 মহাবিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় জিনিষ, ব্লাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরগুলো ->আসলে  কী? কিভাবে  তৈরি হয়? কেন হয়? তাদেরর কি  মৃত্যুও হয়? কল্পবিজ্ঞানের মুভিতে বা গল্পে এই ব্ল্যাকহোলকে যেরকম রহস্যময় বলে দেখানো হয় তারা কী সেরকমই?  ভয়ংকর এক রাক্ষুসে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মতই সবকিছুকে সে গ্রাস করে নিচ্ছে??   

 

কতটুকুই বা  জানেন বিজ্ঞানীরা এ সম্পর্কে? 

 

২০২০ সালে বিজ্ঞানি রজার পেনেরাজ (Roger Penrose), আন্ড্রিয়াe গেজ (Andrea Ghez)ও রাইনহার্ড গেনেজল (Reinhard Genzel)  নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পরে এই ব্ল্যাকহোল নিয়ে  অনেক আলোচনা শোনা যাচ্ছে।

 

আবার ২০১৯ সালে প্রথমবারের মত কোন ব্ল্যাকহোলের ছবি তুলতে পেরে রীতিমত  হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে প্রথম ধারণা পাওয়ার পরে,  দীর্ঘ প্রায় ১০০ বছর কেটে গেছে এখানে পৌঁছুতে  -> কারণ  পুরো ব্যাপারটাই আমাদের কাছে, আমাদের সাধারণ জ্ঞান বা বোধবুদ্ধির কাছে অকল্পনীয় বলে মনে হয়, স্পেস টাইম বা সময় এবং স্থানকে আমরা যেভাবে দেখি বা এ  সম্পর্কে যা বুঝি তার সবকিছুই  এই ব্ল্যাকহোলে গিয়ে সম্পুর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়ে। 

 

 

রাতের আকাশের অগুনতি  উজ্জ্বল, ঝলমলে নক্ষত্রগুলো- যাদের দেখে মনে হয়,  তারা অমর ->এভাবেই বুঝি জ্বলছে  অনন্তকাল ধরে তারাও কিন্তু  অনেকটাই মানুষের মতন: তারা জন্মায়,  বদলায়, বড় হয়ে ওঠে, আর একদিন হারিয়েও যায়। আর এই হারিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায়ই ' কোন কোন নক্ষত্র জন্ম দেয় রহস্যময় এই ব্ল্যাকহোলের। 

 

কোন কোন নক্ষত্র তাদের শেষ সময়ে এসে জন্ম দের এই রহস্যময় ব্ল্যাকহোলের, তবে আমাদের সূর্যের কপালে কিন্তু ব্ল্যাকহোল হওয়া নেই। সূর্যের মত নক্ষত্র ব্ল্যাকহোল হতে পারেনা। তাহলে কোন ধরণের তারারা পারে? 

 

আজকে থিংকের বন্ধু, হার্ভার্ড ইউনিভভার্সিটিতে জ্যোতির্বিদ্যার গবেষক ডঃ  শৌনক বোস আমাদের সাহায্য করবেন এই দুর্বোধ্য ব্যাপারগুলো বুঝ নিতে। 

 

তবে শৌনক সম্পর্কে আরেকটা কথা না বললেই নয়, বাঙ্গালি পরিবারে জন্ম হলেও - জন্ম, বেড়ে ওঠা, লেখা পড়া সবই বাইরে -  দুবাই, বৃটেন এবং আমেরিকায়। বাংলা তার প্রধান কিন্তু ভাষাও না, তারপরও থিংকের এই আলোচনায় বাংলায় কথা বলেছেন আমাদের সাথে। শৌনকের ভাষাতেই বলি -  মহাবিশ্বের এই সব জটিল রহস্য 

নিয়ে গবেষনার চেয়েও আজকে তার বাংলায় কথা বলাটা নাকি ছিল অনেক বেশি কঠিন! 

 

আসুন তাহলে আমরা আজকে এই 'ভাষা-সাহসী' জ্যোতির্বিদ এবং গবেষকের সাথে জেনে নেই সেই তথাকথিত ভয়াবহ ব্ল্যাকহোলের রহস্য! 

 

 

আলোচনা শুরু করার আগে একটা ছোট্ট অনুরোধ, আমাদের ভিডিও প্রকাশের সাথে সাথে নোটিফিকশন পেতে নীচের সাবস্ক্রাইব বাটনে এবং বেল আইকনটিতে ক্লিক করুন। 



অনেক ধন্যবাদ শৌনক আজকে আমাদের সাথে ব্ল্যাকহোল নিয়ে কথা বলার জন্য। প্রথমে একটু বলবে তুমি এখন কোথায় আছ, কী নিয়ে গবেষণা করছ? 

 

আমাদের মহাবিশ্বে শত কোটি -কোটি তারা আছে - বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন যে, কোটি কোটি ব্ল্যাকহোলও থাকতে পারে। শুধু আমাদের গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ,  মিল্কি ওয়েতেই,  কোটি কোটি ব্ল্যাকহোল থাকতে পারে।  আমরা জানি যে,  মিল্কি ওয়ের কেন্দ্রের একটা ছোট ব্ল্যাকহোল আর পাশের এন্ড্রমিডা গ্যালাক্সিতেও আছে তার চেয়ে বড় ব্ল্যাকহোল। তো আমরা যে প্রথম ছবিটা দেখলাম ২০১৯ সালে, এত হইচই হলো, সেটা কার বা কোন ব্ল্যাকহোল? 

 

 

আচ্ছা আমাদের মিল্কি ওয়ের কেন্দ্রের যে ব্ল্যাকহোলটা সেটা ঠিক কীরকম?  

 

Sownak talks about Active and Dormant blackhole here. 

 

হাহা, এই যে গ্যাস খেয়ে ফেলার কথা বললে, ব্ল্যাকহোল কি আসলেই দানবের মত তার আসে পাশের সব কিছুকে গ্রাস করে, পুরোপুরি খেয়ে ফেলে?

 

আহ, আমরা তাহলে এটা অতিরঞ্জিতভাবে জানি! ধন্যবাদ, শৌনক,  প্রথমেই এই ভুল ধারণাটা সম্পর্কে আমাদের জানিয়ে দেওয়ার জন্য!  

 

ঠিক আছে, এবার চল এই ব্ল্যাকহোলের ভিতরে ঢুকে পড়ি,  এই ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবর বলতে আসলে আমরা কী বুঝি? 

 

আচ্ছা তাহলে বলছো যে আলো -  মহাবিশ্বের যে সবচেয়ে দ্রুত-তম জিনিস - সেটাও ব্ল্যাকহোল থেকে বেরুতে পারে না। সেটাই হচ্ছে ব্ল্যাক, মানে ব্ল্যাকহোলের বা কৃষ্ণগহবরের “কালো” অংশটা। 

 

আচ্ছা, তাহলে প্রথম থেকে শুরু করছি। 

তো, ১৯১৫ সালে  আলবার্ট আইনস্টাইন সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব  বা theory of General Relativity তত্ত্বটি দিলেন, তিনি দেখালেন গ্র্যাভিটি বা মাধাকর্ষণ কিভাবে কাজ করে। তো আমরা সেখান থেকে জানি,  মহাবিশ্বে স্থান এবং সময় একটা চাদরের মত ছড়িয়ে আছে, এখন এর উপরে যে কোন বস্তু রাখলে মাধ্যাকর্ষণের কারণে আশেপাশের স্থান এবং সময়ের বক্রতা ঘটে মানে তারা বেঁকে যায় । মাধ্যাকর্ষণ যত শক্তিশালী, এর আশেপাশের স্থান ততটাই বেশি বেঁকে যায়। আমাদের গ্রহগুলো যে ঘুরছে সূর্যের চারদিকে সেটা তার সূর্যের ভারে বেঁকে যাওয়া অংশটার টানেই ঘুরছে। 

 

অর্থাত, একদিকে বস্তু ->স্থান এবং সময়কে  বাঁকিয়ে দিচ্ছে আবার ওদিকে স্থান এবং সময়  নির্ধারণ করছে তার চারদিকে বস্তুটার কীভাবে ঘুরবে। 

 

তো, শৌনক তুমি কি আমাদের একটু সোজা করে বুঝিয়ে বলবে,  আইনস্টাইনের এই সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব থেকে কিভাবে ব্ল্যাকহোলের ধারণাটা এল? 

 

- Then Sownak talks about theory of General Relativity and Blackhole। 

 

বন্যা-> হাহা, এত প্রকান্ড বৃহস্পতি গ্রহকে ৩ মিটারে ঠেসে ঢুকিয়ে দেওয়া - কী অসম্ভব একটাআ ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে!  তো এই নির্দিষ্ট সাইজটা বা - অকল্পনীয়রকমের ছোট  সাইজটা - যার মধ্যে  ভর আছে এমন যে কোন বস্তুকে ঠেসে ঢুকিয়ে দিতে পারলে ব্ল্যাকহোল হয়ে যায় -> এরই নাম কি সেই  Schwarzhchild radius বা Schwarzhchild ব্যাসার্ধ?

 

  

 

‘হ্যাঁ, এটাই Schwarzhchild radius। ব্ল্যাক হোলে  gravity Schwarzhchild Radius-er bhetore  প্রায় অসীম হয়ে যায়। স্থানের বক্রতা তখন এতটাই বেশি হয় যে ওটা infinitely steep slope”, বা অসীম এক ঢালের এর মত হয়ে যায়, যেখান থেকে কোন  আর কিছুই বের হয়ে আসতে পারেনা। এটার গ্রাভিটি এত বেশি যে মহাবিশ্বের দ্রুততম জিনিস লাইট বা আলোও এখান থেকে বেরুতে পারেনা। 

 

আর এই Schwarzhchild radius টাই হচ্ছে  ব্ল্যাকহোলের ইভেন্ট হোরাইজন বা ঘটনা দিগন্ত আমরা কিছুই ফেরত পাই না সেখান থেকে  আর লাইট যেটা হচ্ছে আমাদের মহাবিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম জিনিস সেটাও আটকিয়ে যায় ব্ল্যাকহোলের মধ্যে  তাই  এই অংশটাকেই আমরা ব্ল্যাকহোলের ব্ল্যাক অংশ হিসেবে দেখি।'  

 

‘তবে মুখে মানে তত্ত্বে শুনতে সোজা মনে হচ্ছে, বাস্তবে ব্যাপারটা নিশ্চয়ই এক্কেবারেই সেরকম না, তাই না?  বরং আমাদের জন্যই আমাদের স্বাভাবিক, নিত্যদিনের চেতনা যেভাবে কাজ করে, বস্তুজগতকে যে ভাবে দেখি তার সাপেক্ষে ব্যাপারটা দুর্বোধ্য বা কাউন্টার-ইন্টুইটিভ। 

 

বন্যা-> যাই হোক, আবার ইতিহাসে ফিরে যাই, এর পরেই এলেন আরেকজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী সুব্রাহ্মণ্যম চন্দ্রশেখর। 

 

Sownak -> শৌনক এখানে নিউট্রন স্টার নিয়ে কথা বলবে। 

 

বন্যা->  নিউট্রন তারাগুলো একটা নির্দিষ্ট ভর অতিক্রম করলে তারা আবার কোল্যাপ্স করতে শুরু করে,  আর এইবার তাদের অধঃপতন রোধ করার কোন উপায় থাকে না, তারা অনিবার্যভাবেই  কৃষ্ণ গহবরে পরিণত হয়।   

 

এর পরে ঘটলো সেই মজার ঘটনাটা ঘটলো, তাই না?  আসলে মজার না বলে বোধ হয় দুঃখজনক ঘটনাই বলা উচিত।  আইনস্টাইন  ->যাঁর তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে চন্দ্রশেখর এই ব্ল্যাকহোলের ধারণাটা দিলেন, ->তিনিই  -> এবং চন্দ্রশেখরের পিএইচডির সুপারভাইজার, বিজ্ঞানী আর্থার এডিংটনসহ  কেউই তো চন্দ্রশেখরের এই ধারণাটা মেনে নিতে পারলেন না। অনেক বিজ্ঞানীই রীতিমত হাসি ঠাট্টাও শুরু করে দিলেন এ নিয়ে।  তাঁদের ধারণা ছিল প্রকৃতি কিছুতেই এই চুড়ান্ত পতন বা  কৃষ্ণগহ্বরের সৃষ্টি ->ঘটতেই দেবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চন্দ্রশেখরই ঠিক প্রমাণিত হলেন, তাই না? 

 

Sownak -> অনেক পরে হলেও শেষমেষ কিন্তু দেখা গেল চন্দ্রশেখরের কথাই ঠিক ছিল। এখানে থিওরেটিকাল ফিজিসিস্ট রবার্ট ওপেনহাইমারেরও অনেক অবদান আছে। আমাদের সূর্যের চাইতে অনেক বড় তারাগুলোর শেষ অবস্থায়, তার  জ্বালানি হাইড্রোজেন গ্যাস,  শেষ হয়ে যায়, আর তার ভিতরের মাধ্যাকর্ষণ আর রেডিয়েশনের ব্যলেন্স ভেঙ্গে পড়ে.  

এখানে সেই নিউট্রন স্টারের মত ঘটনা  ঘটতে শুরু করে, খালি  আগে যেখানে নিউট্রন force of gravity ke balance korchilo ekhon jolte thaka hydrogen gravity r shoktike counter korte thake. 

 

প্রথমে ধ্বসে পড়ে তার মূল কেন্দ্র ba core। ei bhenge porata  এতটাই হুড়মুড় kore  শুরু হয়ে যায় je bhoyongkor বিস্ফোরণ ঘটে, unblievable rokomer shokti shrishti hoy, aar  jonmo hoi supernova। 

 

এ সময়েই কিন্তু মহাবিশ্বের মৌলিক পদার্থগুলো তৈরি হয়। আর ওদিকে  যদি তারাগুলো আমাদের সূর্যের চাইতে ২০-২৫ গুণ বেশি ভারি হয়, তখন সুপারনোভার remnant বা অবশেষ হিসেবে তৈরি হয় blackhole।   

 

 

বন্যা -> তো বেশ কয়েক ধরণের ব্ল্যাকহোল আছে, তাই না? 

 

Sownak -> there are 3 kinds অফ blackholes: 



বন্যা -> আচ্ছা তাহলে পুরো ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো? এই ব্ল্যাকহোলের ছবিটাতে যে ইভেন্ট হোরাইজন বা ঘটনা দিগন্ত দেখছি সেটা হচ্ছে কৃষ্ণগহব্রের  কালো অংশটা যেখান থেকে কিছুই বেরিয়ে আসতে পারেনা. তো এখন কৃষ্ণগহবরের গহবর বা  ব্ল্যাকহোলের হোল অংশটা কী? 

  

Sownak -> . Talks about Event horizon, Singularity, accretion disc, relativistic jet 

 

বন্যা ->ব্ল্যাকহোল যে আছে সেটার প্রথম প্রমাণ পাওয়া গেল কীভাবে? প্র্যাক্টিক্যালি? এই যে কিছুদিন আগে গ্রাভিটেশানাল ওয়েভ আবিষ্কার হলো, যদিও আমরা এ সম্পর্কে জানতাম প্রায় ১০০ বছর ধরে, তার সাথে তো ব্ল্যাকহোলের সম্পর্ক আছে, তাই না? 

 

Sownak->

 

বন্যা -> এ তো আরেক বিশাল কাহিনি। এ নিয়ে তো মনে হচ্ছে তোমার সাথে আরেকদিন বসতেই হবে। আমাদের মিল্কি ওয়ে এবং এন্ড্রোমিডা যে ৪-৫ বিলিয়ন বছর পরে এক  সাথে হয়ে যাবে, তখন কীরকম নাচানাচি হবে, তা নিয়ে আরেক দিন কথা বলতে চাই তোমার সাথে। 

 

 

বন্যা -> 

আচ্ছা, বেশ গভীরে গিয়েই বুঝলাম ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবর কী, অনেক ধন্যবাদ শৌনক।   আরেকদন তাহলে  দুটো ছায়াপথ এবং ব্ল্যাকহোল একসাথে মিলে যাওয়ার কী কী প্রমাণ পেয়েছি, কী কী নতুন গবেষণা হচ্ছে এবং তোমার নিজের গবেষণার বিষয়, আরেক রহস্যময় জিনিস -ডার্ক ম্যাটার নিয়েও কথা বলব।  

এত জটিল একটা বিষয় এভাবে বাংলায় বুঝিয়ে বলার জন্য আবারো ধন্যবাদ। আমি তো  এত জটিল একটা বিষয়ে তুমি যে বাংলায় বুঝিয়ে বললে - আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। Good luck with your research work. 

সবচেয়ে বেশি দেখা ভিডিও দেখুন | Most Watched Video

?>

নিবন্ধসমূহ | Articles