ভূমিকম্প কী? ভূমিকম্প কীভাবে সৃষ্টি হয়? ভূমিকম্প কীভাবে পৃথিবীর সব মহাদেশেই কমবেশি ধ্বংসলীলা ঘটায়? তুলনামূলকভাবে কিছু অঞ্চলে ভূমিকম্পগুলো কেন মারাত্মক হয়? ২০০৪ সালে সুমাত্রার কাছে হওয়া ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে নাকি সারা পৃথিবী এক সেন্টিমিটার কেঁপে উঠেছিল! তা থেকে তৈরি ৩০ মিটার উঁচু সুনামির ঢেউয়ে মারা গিয়েছিল ২ লাখেরও বেশি মানুষ। এটি ছিল আমাদের রেকর্ড করা ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে তৃতীয় শক্তিশালী। কীভাবে ভূমিকম্প ঘটে এবং তার ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে? এর সাথে সুনামিরই বা কী সম্পর্ক? আজকে সিরিজের প্রথম ভিডিওতে, থিংকের বন্ধু ড. হাবিবুর রহমানের সাথে জেনে নেব এই প্রশ্নগুলোর উত্তর।
ভূমিকম্প হলে আমরা শুনি যে ৭, ৮ বা ৯ ইত্যাদি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। অনেকে এই মাত্রাকে রিক্টার স্কেলের (ML) বলে ধরে নেন। আসলে রিক্টার স্কেল কিন্তু এখন আর ব্যাবহার করা হয় না কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে, ছোট ও স্বল্প বিস্তৃতির ভূমিকম্প ছাড়া । এখন ব্যবহার করা হয় মোমেন্ট মাত্রা বা Moment Magnitude (MW) এর স্কেল। এই স্কেলের ভিত্তি হল ভূমিকম্পের কিছু ভৌত বৈশিষ্ট (physical properties), যা সম্মিলিতভাবে নির্ণয় করে মুক্তিপ্রাপ্ত শক্তির পরিমাণ। আর এই ভৌত বৈশিষ্টগুলো হলঃ যে শিলাপৃষ্ঠ জুড়ে শিলার স্থানচ্যুতি ঘটল তার আয়তন; স্থানচ্যুতির পরিমাণ; এবং শিলাখন্ডের ভাঙ্গন প্রতিরোধ ক্ষমতা। যত বড় হয় প্রত্যেকটি বৈশিষ্ট, ততই বেশী হয় মুক্তি পাও
যদিও আমাদের পৃথিবী উপর থেকে দেখতে অনেক সলিড কিন্তু ভুপৃষ্ঠের নিচের দিকে এটি চুড়ান্তভাবে সক্রিয়( Extremely Active) । আমাদের পৃথিবী মূলত বায়ুমন্ডলের মতোই কিছু লেয়ার দিয়ে গঠিত। এটমোস্ফিয়ারের মধ্যে সাতটি লেয়ার রয়েছে কিন্তু আমাদের প্লানেট গঠিত চারটি লেয়ার বা স্তর দিয়ে।
ভূমিকম্প পৃথিবীর একক কোন সম্পত্তি না। চাঁদে ভূমিকম্প হয়।মঙ্গলগ্রহ, শুক্রগ্রহেও ভূমিকম্প হয়।সৌরজগতের কিছু উপগ্রহেও ভূমিকম্প হয়। আজকের এই লেখায় চাঁদে কেন ভূমিকম্প হয় সেটা বলার চেষ্টা করবো।
ধারণা করা হয়েছিলো, যখন পৃথিবীতে ভূমিকম্প হয়েছিলো তখন শিলা গুলোতে ফাটল ধরে এবং পরস্পরের সাথে ঘর্ষণের সৃষ্টি হয়। আর ঐ সময়ে সিলিকন হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করার জন্য পানির সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে থাকতে পারে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওমাইক্রোবাইয়োলজিস্ট শন ম্যাকমোহন এবং তাঁর সহকর্মীরা দেখতে চেয়েছিলেন যদি যদি মঙ্গলে ভূমিকম্প হয় তবে কি কোন হাইড্রোজেন শক্তি উৎপন্ন হবে যার সাহায্যে অণুজীবগুলোর লাল গ্রহটিতে বেঁচে থাকতে সক্ষম হবে?
১৮৯৭ এবং ১৯০৫ এ ভারতের আসামে দুইটা বিশাল ভুমিকম্প হয়েছিল। সেই ভুমিকম্পের এলাকার কিছু অংশ বর্তমান সিলেটে। কিছু কিছু জায়গা ৩ সেকেন্ডে ৫০ ফিট উচু হয়ে গিয়েছিল। ওই এলাকাতে মাটির ৫ থেকে ২০ মাইল নিচে ৭৮ মাইল লম্বা একটা ফল্ট লাইন আছে। ঢাকাতে এপিসেন্টার না হলেও--মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরে এরকম একটা ভুমিকম্প আবার হলে সারা বাংলাদেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।