কোথা থেকে এল পাখিরা? ডাইনোসর থেকেই কি ঘটেছে পাখির বিবর্তন? এই প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানীরা খুঁজেছেন প্রায় দেড়শো বছর ধর। মানুষের বিবর্তন নিয়েও এতটা কষ্ট করতে হয়নি জীববিজ্ঞানীদের, যতটা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তারা পাখির বিবর্তন সম্পর্কে জানতে - পাখি কী করে এলো, ডাইনোসর থেকে বিবর্তন ঘটে থাকলে মাটিতে চড়ে বেড়ানো মন্থর গতির বিশাল জীবগুলো কী করে আজ পাখি হয়ে উড়তে শিখল আকাশে? থিংক বাংলার আজকের ভিডিওতে জানবো সেই গল্পটাই - ডাইনোসর থেকে কী করে বিবর্তিত হলো আধুনিক পাখিরা।
প্রজাতির DNA অনেকটা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের মতো, ভাষা তার অবস্থান থেকে বিচ্যুত হলে শব্দের মাঝে একধরনের বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়। একই ভাষা কিভাবে দুই বা দুইয়ের অধিক ভাষায় বিচ্ছিন্ন হয় সে সম্পর্কে জানতে চাইলে দেখুন ‘বিজ্ঞান পত্রিকা’য় প্রকাশিত “প্রাণিবৈচিত্র্য বনাম ভাষা বৈচিত্র্য” নামের লেখাটি। ভাষা যেমন তার অবস্থান থেকে বিচ্যুত হলে শব্দের মাঝে একধরনের বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয় তেমনই প্রাণীরাও তাদের অবস্থান থেকে বিচ্যুত হলে DNA-র মাঝে একধরনের বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়।
গ্যালাপাগোস দ্বীপে বিবর্তনের মাধ্যমে তিন প্রজাতির ল্যান্ড ইগুয়ানার উৎপত্তি হতে কয়েক হাজার বছর লেগেছে মাত্র। কয়েক মিলিয়ন বছর পর্যন্ত যদি অপেক্ষা করি বিবর্তিত হওয়া ঐ সময়ের প্রাণীগুলোর সাথে যদি আজকের তুলনা করে দেখি তাহলে উভয়ের পার্থক্য হবে কল্পনাতীত পরিমাণ বিশাল। অনেকটা তেলাপোকার সাথে কুমিরের তুলনা করে দেখার মতো। বরাবরের মতো আবারো বলছি এই ব্যাপারটাই ঘটেছে সমস্ত জীব জগতের ক্ষেত্রে। এটা সত্য যে তেলাপোকার দাদার দাদার দাদার … … … দাদার এমন এমন একটি পূর্বপুরুষ ছিল যে কিনা আজকের কুমিরেরও দাদার দাদার দাদার … … … দাদার পূর্বপুরুষ। তেলাপোকা ও কুমির একই পূর্বপুরুষ থেকে বিশ্লিষ্ট হয়েছিল।