মঙ্গলে মানব বসতি - মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি সম্ভব হবে কিনা, এ নিয়ে গবেষণা চলছে বহু বছর ধরে। নাসা মঙ্গলে পারসিভিয়ারেন্স perseveranc ও ইনজেনুইটি ingenuity নামের দুটি যান প্রেরণ করেছে ২০২০ সালে। মঙ্গলে, ২০২৪ সালের মধ্যে বসতি স্থাপণের তোড়জোর প্রস্তুতি চলছে। এত তাড়াতাড়ি আমাদের এই লাল প্রতিবেশি গ্রহটি মঙ্গলে বসবাস করা সম্ভব হবে কিনা তার একশ’ ভাগ নিশ্চয়তা এখনো পাও না গেলেও এই দশকের মধ্যেই যে সম্ভব হতে যাচ্ছে সে নিয়ে এখন আর সন্দেহ নেই। মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই সেই প্রাচীনকাল থেকে। তাই চাঁদ জয় করার পরপরই শুরু হয়ে যায় মঙ্গলে অভিযান। পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে আমরা সশরীরে কিভাবে আসা যাওয়া করব সেটা এখনো একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে, তবে তার চেয়েও বড় সমস্যা মানুষের জন্য অবসবাসযোগ্য এই গ্রহের চরম প্রতিকূল পরিবেশ। কিন্তু অজানাকে জানার এবং জয় করার বিস্ময়কর ক্ষমতা আজ বিজ্ঞানীদের মঙ্গল জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে এবং ধীরে ধীরে এই গ্রহটিতে মানব-বসতি স্থাপনের স্বপ্নও সত্যি হতে চলেছে। চলুন তাহলে থিংকের এই ভিডিওতে, আমরা জেনে নেই, বিজ্ঞানীরা কীভাবে একটা একটা সেই প্রতিকুলতাগুলোর মোকাবেলা করে মঙ্গলে মানব-বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন।
সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে যেটা নিয়ে মানুষের কৌতুহলের কখনাে কমতি ছিল না, সেটা নিঃসন্দেহে মঙ্গল গ্রহ। সূর্যের চারপাশে চতুর্থ কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান এই গ্রহটিকে ঘিরে মানুষের জল্পনা কল্পনার বীজ বপিত হয়েছে বহু বছর আগেই। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে সােভিয়েত ইউনিয়নের ‘Mars 1M’ নামের মহাকাশযানটি প্রথম মঙ্গল অভিমুখে যাত্রা করে। সে যাত্রায় মানুষ ব্যর্থ হয়। এ যাবত চালানাে মােট ৫৫ টি বিভিন্ন ধরনের অভিযানের মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র ২২ টি। তবুও মানুষ কখনাে মঙ্গলাভিযান থেকে সরে আসেনি। একের পর এক উচ্চ বাজেটের প্রকল্প হাতে নিয়েছে মানুষ।
টাইম ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী নাসা মঙ্গলে প্রেরিতব্য নভোচারীদের ডিএনএ পরিবর্তনের উপায় নিয়ে ভাবছে। এই ভাবনার মূল লক্ষ্য নভোচারীদের মহাজাগতিক রশ্মি হতে রক্ষা করা।
পারসিভিয়ারেন্স? পারসিভিয়ারেন্স মঙ্গলে নাসার পাঠানো নতুন মঙ্গলযান। পারসিভিয়ারেন্স পরিভ্রামক যানটি নাসার পাঠানো পঞ্চম রোভার। পারসিভিয়ারেন্স যানটি মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে প্রায় সাত মাস সময় নেয় এবং এটি ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের মাটিতে অভিযান শুরু করে।