সৌরজগৎ আমাদের কাছে সব সময়ই রহস্যময়, কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। সৌরজগতের রহস্য ভেদ করে চলেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বহু শতাব্দী ধরেই। প্রাচীন সভ্যতাগুলোও হাজার হাজার বছর ধরে অবাক বিস্ময়ে পর্যবেক্ষণ করেছে বিস্তীর্ণ মহাকাশ, সৌরজগৎ, গ্রহ, নক্ষত্রগুলোকে। থিংকের এই বিশেষ জোতির্বিদ্যার সিরিজের মাসব্যাপি আয়োজনের প্রথম পর্বে সৌরজগতের কেন্দ্র সূর্য থেকে শুরু করে অ্যাস্ট্রয়েড বেল্টের ভিতরের প্রথম চারটে পাথুরে গ্রহ এবং আদিম সেই নীহারিকা থেকে সৌরজগতের সৃষ্টি নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি জ্যোতির্বিদ ডঃ দীপেন ভট্টাচার্যের সাথে। এর পরের পর্বে কথা বলবো বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহ নিয়ে, আর এমন করে চারটি পর্বে ধীরে ধীরে পৌঁছে যাব সৌজগতের প্রান্তে। আপনারাও আমাদের সাথে এই রোমাঞ্চকর মহাবৈশ্বিক যাত্রায় যোগ দিলে আনন্দিত হব।
সৌরজগৎ কাকে বলে? সৌরজগৎ হচ্ছে আমাদের পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। আমাদের সৌরজগৎ কখন গঠিত হয়েছিল? সূর্য আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্র আমাদের সৌরজগৎ একটি নক্ষত্র দিয়ে সাজানো। নক্ষত্রের নাম হলো সূর্য! সূর্যের রয়েছে আটটি গ্রহ, গ্রহগুলোতে রয়েছে ১৪৬টি চাঁদ। সৌরজগতে এছাড়াও আছে একগুচ্ছ ধূমকেতু, গ্রহাণু ও মহাকাশ শিলা, বরফ এবং প্লুটোর মতো বেশ কয়েকটি বামন গ্রহ। আটটি গ্রহ হল বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন। বুধ গ্রহ সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত। নেপচুন সবচেয়ে দূরে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বুধ গ্রহে এক বৃহৎ উপত্যকা- আবিষ্কার করেছেন যা এই গ্রহের সংকোচন ঘটনার এক নতুন আলামত। অদ্ভুত এই ঘটনা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাঝে গত কয়েক দশক ধরে বিতর্ক চলে আসছে।