আর্য কারা? আর্যরাই কি গড়েছিলো প্রাচীন ভারত? আর্য জাতির ইতিহাস নিয়ে কি বলছেন গবেষকরা ?প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার মানুষদের ডিএনএর গবেষণা থেকে যেসব চমকপ্রদ তথ্য জানা যাচ্ছে, তাতে করে শুধু সে-যুগের মানুষকেই নয়, আমরা ভালো ক’রে চিনে নিতে পারছি আমাদেরকেও - আমরা আসলে কে, আমরা এলাম কোথা থেকে!আমাদের এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বংশগতির অধ্যাপক ডঃ ডেভিড রাইখের লেখা বই 'Who We Are and How We Got Here' এবং ভারতীয় উপমহাদেশীয়দের প্রাচীন বংশগতি নিয়ে সাম্প্রতিক এই গবেষণাগুলোর উপর ভিত্তি করে।
এই অশ্বের তথ্য এক নতুন সমস্যার জন্ম দেয়। হিন্দু মৌলবাদী ঐতিহাসিকরা আর্যদের ভারতীয় রূপে অভিহিত করলেও,অশ্বের সুপ্রাচীন নিদর্শন ভারতে পাওয়া যায়নি। আর্যরা এমন এক জাতি অশ্ব ও অশ্ব-চালিত রথে অভ্যস্ত ছিল অথচ ভারতীয় সভ্যতার সুপ্রাচীন নিদর্শন হরপ্পা সভ্যতাতে অশ্বের নিদর্শন নেই।
নিঃসন্দেহে আর্য জাতির শ্রেষ্ঠ সাহিত্য কীর্তি হল বেদ। সংস্কৃত ভাষায় বিরচিত বেদ এক বিস্ময়কর গ্রন্থ। ধর্ম ও দৈনন্দিন জীবনের নানা দিকের অপূর্ব সংমিশ্রণ এই গ্রন্থে লক্ষ্য করা যায়। ষোড়শ শতাব্দীর সময়ে ভারতে আগত ইউরোপীয় পর্যটক ও ধর্মপ্রচারকদের মধ্যে ভারতীয় ধর্ম, বিশেষত বেদ নিয়ে তুমুল উৎসাহ দেখা দেয়।
এক-দুই হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে স্তেপ অঞ্চলের প্যাস্টোরাল বা পশুপালক গোষ্ঠীর মানুষেরা উত্তর-পশ্চিমে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে আর এদিকে দক্ষিণ-পূর্বে সিন্ধু উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এদেরকেই আমরা আর্য বলে চিনি।