সৌরজগৎ নিয়ে আমাদের বিশেষ জ্যোতির্বিদ্যা সিরিজের চতুর্থ পর্ব এটি। সৌরজগতের শেষ প্রান্তে আমরা পৌঁছে যাচ্ছি ধীরে ধীরে, ঢুকে পড়ছি আরো অজানা রহস্যময় জগতে - কোথা থেকে আসে রহস্যময় ধূমকেতুগুলো? কেন ধূমকেতুর ভাণ্ডার ফুরোয় না? সৌরজগতের প্রান্ত ঠিক কোথায়? কী আছে সেখানে? কাইপার বেল্ট, হিলস ক্লাউড, ওর্ট ক্লাউড কী? মানুষের পাঠানো মহাকাশযানগুলো সৌরজগতের কোথায় কোথায় পৌঁছেছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর আজকে আমরা জানবো আমাদের প্রিয় জ্যোতির্বিদ ড. দীপেন ভট্টাচার্যের কাছ থেকে।
২০১৪ সালে সূর্য থেকে প্রায় ২৭০ কোটি মাইল দূরে সূর্যের ম্লান আলোয় ঝিলিক দিয়ে উঠলো কিছু একটা। চিলির আতাকামা মরুভূমির ১৩-ফুট চওড়া “ব্লাঙ্কো” ডার্ক এনার্জি টেলিস্কোপের ক্যামেরায় বন্দী হয়ে গেল সেই ঝিলিক। তার প্রায় সাত বছর পরে, ২০২১ সালে পিএইচডির ছাত্র পেড্রো বার্নারডিনেলি এবং তার প্রফেসর ও পিএইচডি সুপারভাইজার গ্যারি বার্নস্টেইন সেই ছবি থেকে অনুসন্ধান করতে করতে বের করলেন, এটা একটা নতুন ধূমকেতু, এবং আমাদের জানা সবচাইতে বড় ধূমকেতু।
নেপচুনের কক্ষপথ পেরিয়ে কুইপার বেল্ট এলাকায় নতুন একটি বামন গ্রহের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গেছে। নতুন আবিষ্কৃত এই বামন গ্রহটির নাম রাখা হয়েছে 2015 RR245। ২০১৬র ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদদের একটি দল এই বামন গ্রহটির সন্ধান পায়। সন্ধান পাওয়া গেলেও তার অস্তিত্ব সম্পর্কে তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই-এর মাউনা কিয়া পর্বতের শীর্ষে অবস্থিত Canada–France–Hawaii টেলিস্কোপ থেকে পর্যবেক্ষণকৃত তথ্য বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে এই অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।