মহাবিশ্বের সব নক্ষত্রের মতই, আমাদের সূর্যের জ্বালানির এই ভাণ্ডারও একদিন ফুরিয়ে যাবে। সূর্যের নিভে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা ভয়াবহ ও দীর্ঘ; আমাদের পৃথিবীর ভবিষ্যৎও সূর্যের এই পরিণতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই ভিডিওতে আমরা সূর্যের সাথে যাত্রা করব সেই সূদূর ভবিষ্যতে।
সূর্যের ঘূর্ণন আইনস্টাইনের তত্ত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। সাধারণ আপেক্ষিকতা হল মহাকর্ষের তত্ত্ব যা আইনস্টাইনের দ্বারা 1907–1915 সালে বিকশিত হয়েছিল। সাধারণ আপেক্ষিকতার বিকাশ সমতা নীতি দিয়ে শুরু হয়েছিল, যার অধীনে তীব্র গতির রাজ্যগুলি এবং মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের বিশ্রামে থাকা (উদাহরণস্বরূপ, যখন পৃথিবীর পৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে থাকে) শারীরিকভাবে অভিন্ন হয়। বিশ বছর আগে সৌর জ্যোতির্বিদগণ উপলব্ধি করলেন সূর্যের সর্ববহিস্থঃ স্তরটি এর অভ্যন্তরীন অংশের চেয়ে ধীরে ঘূর্ণায়মান। বিষয়টি একটু অদ্ভুত। সূর্যের বিষুবীয় অঞ্চল এর মেরু অঞ্চলের চেয়ে দ্রুত ঘোরে-এটি ব্যাখ্যা যোগ্য। ডিফারেনশিয়াল ঘূর্ণন নামক এক প্রকার ঘূর্ণন দিয়ে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু সূর্যের ধীর উপরিস্তরের ব্যাখ্যা পাওয়া দুষ্কর। দেখে মনে হয় কোনো একটি অদৃশ্য বল সূর্যের উপরের স্তরটিকে চেপে ধরে ঘূর্ণনে বাধা দিতে চাইছে। জোতির্বিদগণ মনে করেন এর জন্য আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্বই দায়ী।
আজ থেকে ৫০০ কোটি বছর পর সূর্য যখন তার সমস্ত হাইড্রোজেন শেষ করে ফেলবে, তখন ধীরে ধীরে এটি পরিবর্তিত হতে থাকবে। বুধ, শুক্র, ও পৃথিবীকে গ্রাস করে মঙ্গল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে আমাদের চিরচেনা সূর্য রেড জায়েন্টে (Red giant) পরিণত হবে। হয়তো তখন আমাদের সৌর জগতটা দেখতে পাশের ছবির মতন হবে। কিন্তু একসময় রেড জায়েন্টের অভ্যন্তরের হিলিয়ামও শেষ হয়ে যায় আর তখন তা হোয়াইট ডুয়ার্ফে (White dwarf) পরিণত হয়।