সৌরজগৎ নিয়ে আমাদের বিশেষ জ্যোতির্বিদ্যা সিরিজ ভিডিওর দ্বিতীয় পর্ব এটি। সৌরজগতের উদ্ভব এবং সূর্যের কাছের প্রথম চারটি পাথুরে গ্রহ নিয়ে প্রথম পর্বের আলোচনার পরে এবারের পর্বে জানবেন দু'টি দানবীয় গ্রহ বৃহস্পতি, শনি এবং গ্রহাণু বেষ্টনী সম্পর্কে। আসুন আমাদের প্রিয় জ্যোতির্বিদ ড. দীপেন ভট্টাচার্যের কাছ থেকে আজকে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই অতিকায় গ্যাসীয় দানব-গ্রহ বৃহস্পতি সম্পর্কে যা শুধু আমাদের সবচেয়ে বড় গ্রহই নয় সৃস্টির শুরু থেকেই সে প্রলয়ঙ্করী সব ঘটনা ঘটিয়েছে সারা সৌরজগৎ জুড়ে। সেই সাথে আরো জেনে নিই রহস্যময় চক্রধারী শনি গ্রহ এবং এস্টেরয়েড বেল্ট বা গ্রহাণু বেষ্টনীর ইতিহাস এবং আধুনিক সব গবেষনার ফলাফল সম্পর্কে।
বৃহষ্পতি এবং শনি গ্রহে পানি পাওয়ার সম্ভাবনা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বৃহষ্পতি এবং শনি গ্রহে পানি পাওয়াকে বিজ্ঞানীরা অভূতপূর্ব ঘটনা বলেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই গবেষকগণ পৃথিবীতে পানির উৎস নিয়ে ভাবছেন। কিছু গবেষণার তথ্য মতে মহাবিশ্ব শুরুর প্রাথমিক সময়ে পৃথিবী এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চল বেশ শুষ্ক ছিলো। এর মানে হলো পৃথিবীতে পানি এসেছে সৌরজগতের বাইরের দিকের অন্য উৎস যেমন মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী স্থানে বিদ্যমান গ্রহাণু প্রভৃতি হতে। অন্য আরেক গবেষণায় দেখা যায় পৃথিবীতে প্রাপ্ত পানি আর গ্রহাণুপুঞ্জে প্রাপ্ত পানির মধ্যে মিল রয়েছে। কাজেই গ্রহাণুকে পৃথিবীর পানির একটি সম্ভাব্য উৎস হিসেবে ধারনা করা হচ্ছে বেশ কিছু কাল ধরেই।
মহাকাশ থেকে ধেয়ে আসা ধূমকেতু বা গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য বিপদের কারণ হতে পারে। অতীতে এই ধরণের সংঘর্ষ জীবজগতে গণবিলুপ্তির কারণ হয়েছে। এই ধরণের খগোল বস্তুর উৎপত্তি কোথায়? পৃথিবীতে তাদের আঘাতের পর্যাবৃত্ত সময়টাই বা কত? এদের হাত থেকে রক্ষার উপায় আছে কী?