জলবায়ু পরিবর্তন ও মানব সভ্যতার নিয়তি

.

নিবন্ধ

পরিবেশ ও প্রকৃতি | Environment

জলবায়ু পরিবর্তন ও মানব সভ্যতার নিয়তি

জলবায়ু পরিবর্তন বা ক্লাইমেট চেঞ্জ কী? জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সারাবিশ্বব্যাপী পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু হচ্ছে কোনও একটি জায়গায় বছরের পর বছর ধরে আবহাওয়ার যে গড়-পড়তা ধরন, তাকেই বলা হয় জলবায়ু। আবহাওয়ার সেই চেনাজানা ধরন বদলে যাওয়াকেই বলা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। পৃথিবী গরম হয়ে পড়ছে এবং তার ফলে দ্রুত বদলে যাচ্ছে আবহাওয়ার বহুদিনের চেনাজানা আচরণ।



জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দেখুন থিংকের ভিডিও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা কতোটা দায়ী?


আপনি কি আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পার্থক্য সম্পর্কে জানেন? আবহাওয়া হলো ভৌত ঘটনার একটি পরম্পরা যেমন- তাপমাত্রা, বৃষ্টি অথবা বাতাসের গতিশীলতা এবং এমন আরো অনেক চরিত্র যা ঋতু, দিন এবং ঘন্টার পরিবর্তে পরিবর্তন হয়ে যায়। আমরা যখন দীর্ঘকালীন সময়ের ফ্রেমওয়ার্কে আবহাওয়াকে বিবেচনা করি ঠিক তখনই আমরা  ক্লাইমেটের প্রসঙ্গে উপনীত হই। আমাদের গ্রহের ক্লাইমেট ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। অতীতেও আমাদের গ্রহ কখনো অনেক বেশি উত্তপ্ত ছিল অথবা শীতল আর এ ফ্ল্যাকচুয়েশন সমস্ত ভবিষ্যতজুড়ে বিস্তারিত হয়।


২০ হাজার বছর পূর্বেই শেষ বরফ যুগের অবসান ঘটেছিল  এবং ৮,০০০ বছর পূর্ব পর্যন্ত পৃথিবী উত্তাপের দিকে ভ্রমণ করেছিল, এ সময়ের মধ্যে পৃথিবীর টেম্পারেচার ৫.৬ থেকে ৮.৪ ° F. বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মানে হলো,  প্রতি শতাব্দীতে তাপমাত্রা 0.06°F বৃদ্ধি পাচ্ছে। আট হাজার বছর পূর্বের সময় ও শিল্পবিপ্লবের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা মোটামুটি কনস্ট্যান্ট বা স্থির ছিলো। ২১০০০ সালের মধ্যে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সময়ের তুলনায় আমাদের গ্রহের তাপমাত্রা বেড়ে এডিশনাল তাপমাত্রা যুক্ত হবে 3.6-8.8°F। এর মানে,  আগামী শতাব্দীর ভেতর তাপমাত্রা ২০,০০০ বছর পূর্বের সময়ের তুলনায় ১০০ গুণ বেশি বৃদ্ধি পাবে। অতীতে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়েছিল সূর্য থেকে আগত শক্তি, বিভিন্ন এটমোস্ফিয়ারিক গ্যাস পুঞ্জিভূত হয়ে, আর আজকের পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান ও একমাত্র চালিকা শক্তি অনিয়ন্ত্রিত মানব মস্তিষ্ক। মূলত, মানুষের মস্তিষ্কের নিউরন সেলই আজকের ক্লাইমেট চেঞ্জিং-এর নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারাই প্রাণীজগতের ভবিষ্যত বিবর্তনের ইতিহাস নিজেদের অবৈজ্ঞানিক ও অনিয়ন্ত্রিত মস্তিষ্কের চিন্তা দ্বারা লিখে দিচ্ছে। আর এজন্য আমরা বর্তমান যুগের গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর নামকরণ করেছি এন্থ্রোপোজেনিক যেটাকে বলা হয় "Human -Induced Climate Change"!


শিল্প বিপ্লবের শুরু থেকে আমাদের স্পিসিজ বিপুল পরিমাণ ফসিল ফুয়েল জ্বালিয়েছে যার মাধ্যমে তারা ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা পূরণ করেছে। প্রাথমিকভাবে এ সকল কার্যক্রমের ভেতর দিয়ে, বিগত ২০০ বছরে, মানুষ কার্বন-ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বিপুল পরিমাণ বাড়িয়ে তুলেছে যার পরিমাণ প্রায় ৪৬%। কার্বন ডাই অক্সাইডই শুধু ক্লাইমেট পরিরর্তনের উপর প্রভাবের একমাত্র কারণ নয়। ফসিল ফুয়েল, এগ্রিকালচার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রসেস এবং ডিফোরেস্টেশন ক্লাইমেট চেঞ্জিং-এ বিরাট অবদান রাখছে।


এনথ্রোপোজেনিক জলবায়ু পরিবর্তন আজ হয়তো আমাদের নিকট খুব একটা দৃশ্যমান হচ্ছেনা কিন্তু মানব সভ্যতার পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের উপর এর মারাত্মক প্রভাব কাজ করবে। প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগ বিশেষ করে বন্যা ও ক্ষরা, মানুষের কারণে আজ প্রবলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, আইস ক্যাপস  বিগলিত হয়ে সমূদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথেসাথে উপকূল রেখা ক্রমশ বিরাট থেকে বিরাট হয়ে উঠছে, আর এর ফলে নিউইয়র্ক, মিয়ামি, রিও ডি জেনিরো, আমস্টারডাম এবং ব্যাংকক ভবিষ্যতে সমুদ্রের প্রবল তাড়া খেয়ে দূর থেকে দূরে অপসারিত হতে থাকবে। কিন্তু এত বিশাল বিশাল অট্রালিকা, শহর ও নগরী যা সমুদ্র উপকূলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে তা ছেড়ে আসা কি এতটা সহয?  যেখানে আজ আমরা আমাদের একটি ল্যাপটপ হারিয়ে ফেললে দিশেহারা হয়ে যাই সেখানে আমাদেরকে আমাদের হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে উঠা পূর্বসূরীদের এম্পায়ার ছেড়ে, সম্পূর্ণ নিঃস্ব অবস্থায় ফিরে আসতে হবে এটা কি একটি বারের জন্য চিন্তা করা যায়?


ক্লাইমেটের এ পরিবর্তন আমাদের পৃথিবীর লাইফ ফর্মের মধ্যেও পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। কিছুকিছু মাইক্রোবস, প্লান্ট এবং এনিমেল সম্ভবত বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আবহাওয়ার পরিবর্তনে জীবন কি হারে পরিবর্তন হয় তার একটি আভাষ দেয়ার জন্য আমরা সাহারা মরুভূমির দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে পারি। আজ থেকে ৬ হাজার বছর পূর্বে যে সাহারা ছিলো গ্রহের সবচেয়ে শুকনো স্থান আজ সেই সাহারা রুপান্তরিত হয়েছে ব্যাপক গাছগাছালির আচ্ছাদনে। ক্লাইমেটের পরিবর্তন জীবিত প্রাণীদের একে অপরের সাথে ইন্টারেকশনের পদ্ধতির মধ্যে পরিবর্তন সাধন করবে।


যখন কোন একটি প্রাণি জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হয় তখন তার কাছে দুটি অপশনই খোলা থাকে। প্রথমটি, হলো মাইগ্রেসান। যেমন- এনথ্রোপোজেনিক ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে যদি সমুদ্রের পানির উত্তাপ বেড়ে যায়, শৈবাল থেকে শুরু করে মাছ সবাই অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা পানির সন্ধানে মেরুর দিকে ভ্রমণ করতে থাকবে। মাইগ্রেসানের মাধ্যমে এ প্রাণীগুলো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যাবে এবং হয়তো আবার যথাযথ জীবন খুঁজে পাবে।


এটা শুধুমাত্র সে সকল স্পিসিজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করার জন্য বিবর্তিত, এক্ষেত্রে আমরা তিমি ও কুগার কথা বলতে পারি। কিন্তু স্লথ ও অর্কিডের মতো প্রাণীরা এ দীর্ঘকালীন ভ্রমণে ব্যর্থ হবে এবং তারা প্রচন্ড ভয়ানক অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যাবে। অতএব প্রজাতির টিকে থাকার জন্য আর একটি উপায় অবশিষ্ট থাকে যা হলো  "বিবর্তন"। বিবর্তন ক্ষুদ্রতর মাত্রায় ঘটতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কয়েক প্রজন্ম ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কে তামিয়াস আলপিনাস নামক একটি প্রাণীর মুখমণ্ডল একশত বছরেই বিবর্তিত হয়েছে। বিবর্তন বিরাট মাত্রায়ও সংঘটিত হয়, যা নতুন স্পিসিজের জন্ম দেয়। যেমনঃ ৪৮০-৩৪০ হাজার বছরের ভেতর বাদামী ভাল্লুক ও পোলার ভাল্লুক একই প্রজাতি থেকেই বিবর্তিত হয়েছে। আর এ দুটি গ্রুপ সময়ের সাথে একে অন্যের থেকে ক্রমশ ভিন্ন থেকে ভিন্নতর হয়ে উঠেছে।


কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য যে, যখন কোন একটি প্রজাতি পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে মাইগ্রেট অথবা বিবর্তিত হওয়ার যথেষ্ট সময় পায়না তখন তাদের জন্য শুধু একটাই পথ খোলা থাকে আর সেটি হলো " বিলুপ্তি"! আজ থেকে ৭০ হাজার বছর পূর্বে আগুনের আবিষ্কারের ফলে মানুষ রাতারাতি খাদ্য শৃঙ্খলের প্রথম পর্যায়ে চলে এসেছিল। যেখানে অন্যান্য প্রাণীদের বাস্তুতন্ত্রের সাথে অভিযোজিত হতে লাখ লাখ বছর সময় লাগে সেখানে মানুষ কোনো সময়ই পায়নি আর যার ফলে মানুষের মস্তিষ্কে দেখা দিয়েছিলো অস্তিত্বের ফ্ল্যাকচুয়েশন ও আগ্রাসন  যা মানব সভ্যতাকে মনস্তাত্বিকভাবে সাইকো করে তুলেছিলো, মানুষ তার অস্তিত্বের অনিশ্চয়তায় এত বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছিল যে তারা তাদের অন্যান্য প্রজাতিগুলোকেই বাস্তুসংস্থান থেকে বিলুপ্ত করে দিয়েছিল। বিগত একশত বছরেও মানুষের কারণে দুটি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে। 


কিন্তু এনথ্রোপোজেনিক ক্লাইমেট চেঞ্জ অনেক দ্রুতগতিতে ঘটে, এতটাই দ্রুত গতিতে ঘটে যে পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সাথে পাল্লা দিয়ে প্রাণীজগত মাইগ্রেসান অথবা ইভোলিউশনের কোনো সময়ই পায়না। আর আজকের এই "Human Transformed Planet" সম্পূর্ণভাবে মানব নির্ভর, মানুষের নিউরাল সার্কিটের উপর দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর মিলিয়ন মিলিয়ন প্রাণী ও স্বয়ং মানব স্পিসিজের জীবন। মানুষ এ গ্রহকে এত দ্রুত বদলে দিচ্ছে যে,  কোনো প্রাণীই এখানে বিবর্তিত হওয়ার পর্যাপ্ত সময় ও  সুযোগ পাবেনা, এমনকি মানুষ নিজেও নিজের তৈরি এই অনিয়ন্ত্রিত মনস্তাত্বিক কারাগারে অবরুদ্ধ হয়ে যাবে, তার মস্তিষ্কই তাকে খেয়ে ফেলবে মহাসমুদ্রের ঢেউ হয়ে! 


আজ আমেরিকার বিশাল এলাকা জুড়ে জ্বলছে দাবানল, জার্মানী, ভারত, চীন, নাইজেরিয়া, উগান্ডায় দেখা দিয়েছে প্রবল বন্যা, মাদাগাস্কারে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ ক্ষরা, সমস্ত পৃথিবীব্যাপি দেখা দিচ্ছে আরো শক্তিশালী সব ঘূর্ণিঝড়। সাইবেরিয়ার পারমাফ্রস্ট গলে যাচ্ছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে, কানাডা-আমেরিকার পশ্চিম দিকে অভূতপূর্ব গরমে মারা যাচ্ছে মানুষ ও গবাদি পশু, অন্যদিকে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে অত্যন্ত দ্রুত গলে যাচ্ছে মেরুর হিমবাহ। আর বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলোর প্রায় ১০০’টির মধ্যে ৯৭ টি- এ সকল দুর্যোগের পেছনে দায়ী করছেন একমাত্র মানুষের কাজ কর্মকেই। ১৯৯০ সালের দিকে পৃথিবীর মেরুর দিকে বরফ গলতো ৭৬০ বিলিয়ন টন। ২০১০ সাল থেকে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.২ ট্রিলিয়ন টন। আমাদের জীবদ্দশাতেই এই বরফ গলার পরিমাণ বেড়ে গেছে শতকরা ৬০ শতাংশ। ১৯৮১ থেকে ২০১০ এর তুলনায়। সারা পৃথিবীতে আজ আমরা যে পানি দেখি  তার শতকরা ৯৭ ভাগই লবণাক্ত আর অবশিষ্ট ৩% যে মিষ্টি জল তার ৭০ ভাগই উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর বরফের মধ্যে বন্দী। সমূদ্রের বরফগুলো গলে গেলে সমূদ্রের উচ্চতা হয়তো খুব একটা বৃদ্ধি পাবেনা কারণ তারা ইতোমধ্যে একটি নির্দিষ্ট জায়গা দখল করে আছে। কিন্তু এন্টার্কটিকা অথবা গ্রীনল্যান্ডের মেরু অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠের উপরের বরফগুলো গলে গেলে তার ফলাফল হবে মারাত্মক ভয়াভহ! সমূদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাবে অন্তত ৭০ মিটার বা ২৩০ ফুট যা প্রায় ২০-২০ তালা দালানের সমান উচ্চতা সম্পর্ন। প্রশ্ন হলো,  সমূদ্র উপকূলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা সভ্যতাগুলো কোথায় মাইগ্রেট করবে ২৩০ ফুট পানির উচ্চতাকে অতিক্রম করে? কোথায় যাবে নিউইয়র্ক, ইস্তাম্বুল অথবা টোকিওর সভ্যতা? তারা কি মাইগ্রেসানের জন্য যথেষ্ট সময় পাবে? নিউইয়র্ক- এর মানুষরা কি বিবর্তিত হয়ে রাতারাতি নীল তিমিতে পরিণত হয়ে যাবে? কোথায় দেবে পৃথিবী তাদের স্থান? 


থিংকের সূত্রমতে, সমুদ্রের উচ্চতা শুধু ১০ মিটার বাড়লে ৭০-৮০ কোটি মানুষকে উপকূল এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে হবে! ২৫ মিটার বাড়লে সরাতে হবে শতকরা ২০ ভাগ? আর ৭০ মিটার বৃদ্ধি পেলে শুধু বাংলাদেশ নয়, মায়ামি, লন্ডন, নেদারল্যান্ডস, ডেনিস এ সকল এরিয়ার চিহ্নই থাকবেনা! ডুবে যাবে উত্তর চীনের অধিকাংশ শহর , অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি হবে নতুন এক সাগর! আফ্রিকার কিছু জায়গায় তাপমাত্রা এমন হারে বৃদ্ধি পাবে যে মানুষ এখানে টিকতেই পারবেনা! আর এছাড়া রয়েছে থার্মোহ্যালাইন সার্কুলেশন সিস্টেম পরিবর্তনের তীব্র প্রভাব! সমুদ্রে বরফ গলে সব মিশে গেলে সমুদ্রের পানির ঘনত্ব কমে যাবে এবং কমে যাবে লবণাক্ততা। আর এর ফলে প্রভাবিত হবে থার্মো হ্যালাইন পরিবহন। এখন যেমন, শীতল জল ঘন লবণাক্ত জলের গভীরে ডুবে যায় তা আর ঘটবেনা, সম্পূর্ণ সমুদ্র পরিবর্তন হয়ে যাবে। সামুদ্রিক প্রাণীরা এই নিষ্ঠুর পরিবর্তনের সাথে নিজেদের অভিযোজন করতে পারবে? আমরা কি পারবো ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পাওয়া বন্যা ও খরা মোকাবিলা করতে? আমাদের জন্য কি থাকবে মাইগ্রেসানের সময়? আমরা এত দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে কিভাবে অভিযোজিত হবে? কিভাবে ঘটবে আমাদের বিবর্তন?  সবকিছু বিবেচনা করলে দেখা যায় , এমন একটা সময় আসছে  যখন আমরা সাইকো হয়েও টিকে থাকার সুযোগ পাবো না! আসুন, আমরা থিংকের এ ভিডিওটি দেখি এবং সবার মধ্যে এখন থেকেই জনসচেতনতা তৈরি করি। সময় এসেছে প্রকৃতির পাশে দাঁড়ানোর… 


তথ্যসূত্রঃ 


  • Climate Change Bangla V3, Think


সবচেয়ে বেশি দেখা ভিডিও দেখুন | Most Watched Video

?>

নিবন্ধসমূহ | Articles

জলবায়ু হচ্ছে কোনো এলাকা বা ভৌগোলিক অঞ্চলের ৩০-৩৫ বছরের গড় আবহাওয়া। বর্তমান বিশ্বে দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন একটি নৈমিত্তিক ঘটনা। এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বৈশিক উষ্ণতা নামে অধিক পরিচিত।