ইতিহাসে অনেক মড়কের কথা পড়েছি আমরা। ভয়াবহ সেই সব দুঃসহ দিন! কাতারে কাতারে মানুষ মরছে প্লেগ কিম্বা কলেরায়, মৃতদেহের স্তূপ জমে যাচ্ছে রাস্তার ধারে। আমরা আঁতকে উঠেছি, সমব্যথী হয়েছি সেই অতীতের মানুষদের দুর্দশার কথা পড়ে। কিন্তু আজ, সারা পৃথিবী জুড়ে করোনাভাইরাসের মহাতঙ্কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমরা হয়তো প্রথমবার বুঝতে পারছি সেরকম মহামড়কের আসল স্বরূপ। দেখতে পাচ্ছি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ও চিকিৎসার এত্ত অগ্রগতি সত্ত্বেও এখনো মানুষ ক-ত অসহায় এই মারণ ভাইরাসের হাতে! কিন্তু করোনার আতঙ্কে হাল না-ছেড়ে দিয়ে বা ক্ষেপে না-গিয়ে, সবাই মিলে রুখতে হবে এর আক্রমণ। চলুন তবে, দেখে নেই বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন এই ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে এবং বুঝে নেই এ-অবস্থায় আমাদের করণীয় কী।
করোনা ভাইরাসের আক্রমণে একদিকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে প্রতি দিন, আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে দ্রুত ধ্বসে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি! এই সব কিছুর মূলে আছে SARS-CoV-2 নামে একটা ছোট্টো ভাইরাস যে কোন সীমান্ত মানে না, বা আমাদের জানা কোন চিকিৎসার ধারও ধারে না। এবছরের এগারোই মার্চ World Health Organization করোনার বিশ্বব্যাপী এই সংক্রমণকে প্যানডেমিক বা বৈশ্বিক মহামারী বলে ঘোষণা করেছে। দুর্ভাগ্যবশত আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প বা ইরানের রাষ্ট্রপতি রোউহানির মতো পৃথিবীর অনেক দেশের নেতারাই প্রথমে ব্যাপারটা উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন, ফ্লু ভাইরাসের সাথে একে একই কাতারে ফেলে। এই SARS-CoV-2 করোনাভাইরাসের একটা অভিনব সংস্করণ, যাকে বলা হয় নভেল ভাইরাস। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু-ভাইরাসের মতই এও একটা ভাইরাস, কিন্তু এই নতুন ভাইরাসটি অনেক বেশি বিপজ্জনক, এবং অনেক বেশি ছোঁয়াচে! এ কারণেই একে ঠেকানো এত কঠিন হয়ে পড়েছে।
এপর্যন্ত পাওয়া হিসেবমতে এর সংক্রমণের হার দুই থেকে সাড়ে তিন শতাংশ আর ফ্লুর ছড়ানোর হার মাত্র ০.১%। করোনার এই বিশেষ ভাইরাসকে চিনে নেওয়ার আগে আসুন দেখে নেই ভাইরাস জিনিসটা আসলে কী। এতো ভীতিপ্রদ জিনিসটা আসলে খুব খুব ছোট্টো, অতি-আণুবীক্ষণিক। সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে এদের দেখা যায় না। এই ভাইরাসেরা বেশ অদ্ভুত। এদের ঠিক জীবন্ত বলা যায় না যতক্ষণ না এরা পোষক বা প্রাণীদেহের কোষে প্রবেশ করে। কিন্তু একবার ঢুকে পড়তে পারলে এরা শুধু জীবন্তই হয় না, পিলপিল ক’রে সংখ্যায় বাড়তে শুরু করে এবং কেউ কেউ পোষককে ধ্বংসও করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
করোনা ভাইরাস জিনিসটা কিন্তু নতুন নয়! আমরা ইতোমধ্যেই SARS বা MERS-এর ভাইরাসের মত করোনাভাইরাস পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে পরিচিত। নতুন হলো করোনার এই স্ট্রেইন বা সংস্করণটি। কিছু গুজব শোনা গেলেও, সাম্প্রতিক গবেষণায় পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে যে, এটা কোনো গবেষণাগারে জৈব অস্ত্র হিসেবে তৈরি করা হয়নি। এটি প্রাকৃতিকভাবে বিবর্তনের ফলে সম্ভবত বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটানোর ক্ষমতা লাভ করেছে। এই SARS-CoV-2 ভাইরাসটি যেহেতু এক্কেবারে নতুন, আমাদের প্রজাতির কাছে, তাই একে বলা হচ্ছে নভেল ভাইরাস। এর বিরুদ্ধে আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক কোন প্রতিরোধ ক্ষমতা এখনো গড়ে ওঠেনি, আর একে মোকাবেলা করার জন্য কোন ওষুধ বা ভ্যাক্সিনও আবিষ্কৃত হয়নি এখনো।
এই ভাইরাসে একজন আক্রান্ত মানুষ যখন হাঁচি দেয়, কাশে, নিঃশ্বাস ছাড়ে বা কথা বলে, তার মুখ বা নাক থেকে ছিটকে-আসা তরলের সাথে বেরিয়ে আসে এই ভাইরাস। বিশেষত আমরা যখন কাশি, আমাদের নাক মুখ থেকে নাকি মোটামুটি হাজার তিনেক সূক্ষ্ণ তরলকণা ছিটকে বেরিয়ে আসে। এই ফোঁটাগুলো এতো ক্ষুদ্র যে এদের চোখে দেখাও যায় না এবং এরা হাওয়ায় ভেসেও থাকতে পারে কয়েক ঘণ্টা। আমাদের শরীরের বাইরে এরা নাকি কয়েক ঘন্টা বা কয়েকদিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। এই তরলের সংস্পর্শে সংক্রমিত হওয়া দরজার হাতল, বা যে কোনকিছু ধরলেই ভাইরাস আপনার হাতে চলে আসে। তারপর আপনি যখন সেই হাত দিয়ে চোখে মুখে নাকে হাত দেন ভাইরাসও ঢুকে পড়ে সেই পথ দিয়ে।
শরীরে ঢোকা মাত্রই আপনার মধ্যে রোগের লক্ষ্মণ দেখা যাবে, এমনটা নয়। সাধারণভাবে, সংক্রমিত হলে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায় দুই থেকে চৌদ্দ দিনের মধ্যে, কিন্তু এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন কারো ক্ষেত্রে আরো বেশি সময়ও লেগে যেতে পারে!রোগের আক্রমণ বাড়াবাড়ি রকমের হলে নিউমোনিয়া এবং সুতীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুখ থেকে শুরু করে কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়া এবং মৃত্যু অবধি হতে পারে। বয়স্ক মানুষেরা, বিশেষত যাঁরা কোনো ডায়াবিটিস, ফুসফুসের সমস্যা বা উচ্চ রক্তচাপের মত রোগে ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রথমে ভাবা হয়েছিলো কমবয়েসিদের সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা অনেক কম, সেটাও এখন আর জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।
তবে আশার কথা হচ্ছে যে, এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত মানুষদের আশি শতাংশের মধ্যে খুব সামান্য লক্ষণ বা এমনকি একেবারেই কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সেটা তো খুব ভাল খবর, তাই না? আসলে এর ফলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এদের বেশির ভাগই জানেন না যে তাঁরা শরীরে এই মারণ ভাইরাস নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এবং নিজেদের অজান্তেই সংক্রমিত করছেন আশেপাশের অসংখ্য বয়স্ক বা রুগ্ন মানুষদের, যাঁদের ঝুঁকি সবচে বেশি। এবং একারণেই বিশ্বজুড়ে এর সংক্রমণ ঠেকানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। তবে হাঁচি কাশি মানেই কোভিড-নাইন্টিনের আক্রমণ নয়। এই তালিকায় দেখুন, লক্ষণ দেখে কী ক’রে বুঝবেন কোনটা অ্যালার্জি, সর্দিজ্বর, গলা ভাঙা বা স্ট্রেপ থ্রোট, সাধারণ ফ্লু, নাকি সত্যি সত্যি কোভিড-নাইন্টিন?
আমেরিকার Center for Disease Control-এর বক্তব্য অনুযায়ী, যদি একশোর ওপর জ্বর থাকে, বুকে কফ বা শুকনো কাশি হয়, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুকে স্থায়ী ব্যথা বা চাপ বোধ হয়, ঠোঁট নীলচে দেখায়, এমনকি ভাবনাচিন্তা এলোমেলো লাগে, দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান! আমরা জানি যে কোভিড-নাইন্টিন প্রথম শুরু হয়েছিল ছিলো চীনের উহান শহরে গত বছরের শেষের দিকে। গোড়ায় ঘটনাটা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করলেও এক মাসের মধ্যেই চীন সরকার গোটা প্রদেশকে লক-ডাউন করে দেয়, বিনা অনুমতিতে বাসার বাইরে বেরোনো নিষিদ্ধ করা হয়, স্কুল-কলেজ-অফিস সব ছুটি দিয়ে দেয়া হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য। এই রকমের কঠোর নীতির প্রয়োগ শুরুতে বাড়াবাড়ি মনে হলেও বিশেষজ্ঞরা এখন মনে করেছেন এর ফলেই চীনে শেষ পর্যন্ত আরো বড়ো মাপের মহামারী ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পদক্ষেপগুলোও বেশ কার্যকরী হয়েছে। সংক্রমণের সংখ্যা একটু বাড়া মাত্রই দেশ জুড়ে ঢালাও ভাবে রোগ পরীক্ষা করার জন্য ড্রাইভ-থ্রু ক্লিনিকের আয়োজন করা হয় যেখানে এখন প্রতিদিন পনেরো হাজার মানুষকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। হংকং, তাইওয়ান, এবং সিঙ্গাপুরেও এই জাতীয় বন্দোবস্তের ফলে দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং সেই অনুসারে নাগরিকদের প্রয়োজন অনুযায়ী কোয়ারেন্টিন করে রোগের সংক্রমণ অনেকাংশে আটকানো গেছে। এর উল্টোদিকে রয়েছে UK, USA, Spain, ইটালি বা জার্মানির মতো দেশ, যেখানে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক যে কারণেই হোক, রোগ পরীক্ষা নিয়ে প্রাথমিক গাফিলতি এবং কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে জনসাধারণের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ বিশাল আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে এবং ভারতেও এখন একই রকমের অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা পাগলের মতো খেটে চলেছেন এর প্রতিষেধক খুঁজে বের করার জন্য। এখানে সেখানে দুই একটা ওষুধের কথা শোনা গেলেও আমরা এখনো জানিনা তারা কার্যকরী হবে কিনা তবে সাধারণ মানুষের হাতে কোন ভ্যাক্সিন বা ওষুধ এসে পৌঁছাতে সম্ভবত এক থেকে দেড় বছর সময় লেগে যাবে। মহামারী সম্পূর্ণ ঠেকানো আর সম্ভব না, মোটামুটি সারা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে গেছে এই ভাইরাস। তবে এই ধ্বংসের মাত্রাটা কমিয়ে আনতে আমরা অনেক কিছুই করতে পারি । ‘Flatten the curve’ এর কথা হয়তো শুনেছেন। কঠিন শোনালেও ধারণাটা কিন্তু তেমন কঠিন নয়। যে কোনো দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সর্বোচ্চ যত মানুষকে পরিষেবা দিতে পারে, এরকম মহামারীর সময় অসুস্থ মানুষের সংখ্যা সেই ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গেলে অনেককে আর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। তখন হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা ছাড়াই মারা যায়, এখন তাইই ঘটছে ইটালিতে।এই মহা-বিপর্যয় ঠেকাতে হলে আমাদের কঠোরভাবে কতগুলো নিয়ম পালন করতে হবে-
সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা বা social distancing – অর্থাৎ সামনের মানুষটার থেকে এক থেকে দু মিটার দুরত্ব বজায় রাখা, নিজেকে যথাসম্ভব গৃহবন্দী করে রাখা। আপনি কাজে অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসলে নিজেকে বাড়ির অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখা, বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা বন্ধ করা এবং কোনো রকম অসুস্থতা বোধ করলে কমপক্ষে দু সপ্তাহ বাড়ির থেকে বের না হওয়া অর্থাৎ নিজেকে self quaraintine করে রাখা। জানি এগুলো বলা সহজ। যাঁরা দিন আনেন দিন খান তাঁদের জন্য এই নিয়মগুলো পালন করা অসম্ভব ব্যাপক সরকারি সহযোগিতা ছাড়া। সেকারণেই এখনই অবিলম্বে এগিয়ে আসতে হবে দেশের সরকারকে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ঘনঘন সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধোওয়া। হ্যাঁ ব্যাপারটা বেশ আইরনিক। যে মারাত্মক ভাইরাসটাকে কোন কিছু দিয়েই আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না তাকে নাকি সাবান দিয়ে মারা সম্ভব!
ঘটনাটা হচ্ছে এই যে ভাইরাসের বাইরে তৈলাক্ত একটা লিপিডের আবরণ আছে, এবং সাবান সেই আবরণটা ভেঙে দিয়ে ভাইরাসটা ধ্বংস করে ফেলে। কিন্তু এই এক সাবান বেচারা আর কতটাই বা কী করতে পারবে? আমাদের এই অদৃশ্য ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হলে চোখে নাকে ও মুখে হাত না দেওয়া থেকে শুরু করে self distancing এবং self quarantine-এর মত ব্যাপারগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে এবং সাড়া দেশব্যাপী ব্যাপকহারে ভাইরাসের পরীক্ষা শুরু করতে হবে। এই মুহূর্তে সারা পৃথিবী সঙ্কটের মুখোমুখি। বাস্তবতা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, আরও হাজার হাজারের মৃত্যু অবধারিত। বিজ্ঞানীরা এই রোগের প্রতিষেধক খুঁজে বের না-করা পর্যন্ত আমরা সবাই চরম সাবধানতা অবলম্বন করে সব কটা নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চললে, দেশের সরকার ঠিকমত ভাইরাসের পরীক্ষা শুরু করে সবগুলো নিয়ম বাস্তবায়ন করলে এই মারণ ভাইরাসকে বন্ধ না করা গেলেও এর বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
তবে এখন থেকেই কতগুলো নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে শুরু করলে সংক্রমণের গতি কমিয়ে আনা সম্ভব। মহামারীর গতি কমিয়ে আনতে পারলে অর্থাৎ হাসপাতালে একসাথে ভর্তি হতে আসা ভীষণভাবে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারলে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে না, দলে দলে মানুষ মারা যাওয়ার মত ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে না। এবং একেই বলা হচ্ছে ‘flatten the curve’।এবং সেটা করতে হলে এখনই কঠোরভাবে কতগুলো নিয়ম পালন করতে হবে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা বা social distancing অর্থাৎ সামনের এবং পিছনের মানুষটা থেকে এক থেকে দুমিটার দুরত্ব বজায় রাখা, নিজেকে যথাসম্ভব গৃহবন্দী করে রাখা, কোনো রকম অসুস্থতা বোধ করলে কমপক্ষে দুসপ্তাহ বাড়ির থেকে বের না হওয়া অর্থাৎ নিজেকে self quaraintine করে রাখা।
ঘনঘন সাবন দিয়ে হাত ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই ভাইরাসের বাইরে তৈলাক্ত একটা লিপিডের আবরণ আছে, এবং সাবান সেই আবরণটা ভেঙে দিয়ে ভাইরাসটা ধ্বংস করে ফেলে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশেই এখন পুরো লকডাউন অর্থাৎ বিশেষ দরকার ছাড়া বাইরে এক্কেবারে না বেরানোর ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। এবং এজন্য এখনি দরকার ব্যাপক সরকারি উদ্যোগ। বিজ্ঞানীরা এই রোগের প্রতিষেধক খুঁজে বের করা পর্যন্ত প্রতিটি দেশের সরকার যদি সারা দেশব্যাপী ব্যাপকহারে ভাইরাসের পরীক্ষা শুরু করে, কঠোরভাবে সব নিয়মগুলো বাস্তবায়ন করে এবং হাজার হাজার গরীব মানুষ যাতে অনাহারে মারা না যান তার ব্যবস্থা করে, তাহলে এই মারণ ভাইরাসকে বন্ধ না করা গেলেও এর বিস্তার রোধ করা সম্ভব। বাঁচার এ-ই একমাত্র পথ!