সৌরজগৎ! রহস্যময় গ্রহ ইউরেনাস এবং নেপচুন। প্লুটো কেন গ্রহ নয়? (পর্ব ৩)

.

বন্যা

দীপেনদা, আবারো ধন্যবাদ আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য। আশা করি ভালো আছেন। 

 

বন্যা

আমরা সৌর জগতের গভীরে ঢুকে পড়েছি জ্যোতির্বিদ্যার এই বিশেষ আয়োজনের গত দুটি পর্বে। আজকে আমরা থিংক বাংলার এই পর্বে ঘুরে আসব রহস্যময় নীল রঙের গ্যাসীয় দানব ইউরেনাস এবং নেপচুন থেকে।

 

আমাদের এই বিশেষ জ্যোতির্বিদ্যার সিরিজের প্রথম দুটো পর্বে আমরা সূর্য থেকে শুরু করে শনি পর্যন্ত পোঁছেছি।  আমরা চেষ্টা করছি গতবাঁধা তথ্য না দিয়ে আধুনিক গবেষণাগুলো, মজার মজার ইতিহাস এবং বিজ্ঞানের কনেস্পচুয়াল ব্যাপারগুলো নিয়ে আলোচনা করতে। আজকে তাহলে চলুন, ৭ম এবং ৮ম গ্রহ ইউরেনাস এবং নেপচুন  নিয়ে আলোচনা করা যাক আর তার পরে তো আছে সেই বেচারাই বলি আর বিখ্যাতই বলি আমাদের প্লুটো, তাকে কেন গ্রহের তালিকায় স্থান দিয়েও আবার বার করে দেওয়া হলো সেটা নিয়েও কথা বলতে চাই । 

 

বন্যা

শনির পরে ইউরেনাস। ছোট বেলায় অনেক গ্রীক মিথলজি পড়তাম, সেখানে স্বর্গের দেবতা  ইউরেনাস এবং গায়াকে নিয়ে অনেক পড়েছি, এটাই মনে হয় একমাত্র গ্রহ যার নাম রোমান নয় বরং গ্রীক দেবতার মানে। সে যাক, সৌরবিজ্ঞানে ফেরত আসি। 

 

আমাদের সৌর জগতের কত্ত দূরের গ্রহ এই ইউরেনাস, ৮ বিলিয়ন মাইলেরো বেশি দূরে, একে কি  খালি চোখে দেখা যায়?   

 

দীপেন

আমরা যতদুর খালি চোখে দেখতে পাই তার একেবারে শেষ সীমায় ইউরেনাস অবস্থিত। এবং সে কারণেই প্রায় হাজার হাজার বছর ধরে আকাশ পর্যবেক্ষন করছি কিন্তু ইউরেনাসকে আমরা চিনহিত করতে পারিনি যে এটা একটা গ্রহ। সেই সুমেরীয় জোতির্বিদ্যা থেকে পাচ হাজার বছর আগে থেকেই আমরা জেনে আসছি যে আমাদের পৃথিবী ছাড়া পাচটি গ্রহ তারা আকাশে দেখেছে এবং চিনহিত করেছে সেটা হল বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহ । তারপরে পাচ হাজার বছর পরে ইউরেনাস এর আবিষ্কার হল। মনে করা হয় গ্রীক জোতির্বিদ হিপ্পারচাস ২ হাজার বছর আগে এটি দেখেছিলেন এবং তিনি এটি লিপিবদ্ধ করেছিলেন যে এটি একটি তারা। গ্যালিলিও এটি দেখেছেন ১৬১২ সালে। ফ্ল্যামসিড নামে একজন ইংরেজ জোতির্বিদ ছিলেন তিনি হয়ত ৫/৬ বার এটা খেয়াল করে দেখেছেন এবং এটাকে লিপিবদ্ধ করেছেন একটি তারা হিসেবে অবশেষে হার্সল একজন জার্মান ইংরেজ জোতির্বিদ ১৭৮১ সালে ইউরেনাস আবিষ্কার করেন তখন যেহেতু ধারণা করা হচ্ছিল যে আর কোনো গ্রহ নেই তিনি এটাকে ধুমকেতু হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন কিন্তু ১ বছরের মধ্যেই প্রমাণিত হয়ে যায় যে এটা আসলে একটি গ্রহ এবং এই গ্রহের যে ভ্রমণকাল তা একটি দীর্ঘ ভ্রমণকাল ৮৪ বছরের মত  ইউরেনাসের আবিষ্কার নিয়ে কিছু কথা বলি। যতদূর পর্যন্ত খালি চোখে দেখা যায় ইউরেনাস এক্কেবারে সীমায়। ইউরেনাস - ১৯ জ্যোতির্বিদ্যার একক দূরে।  


পুরোনো সময়ে দেখা সম্ভব ছিল এবং মনে করা হয় হিপারকস দু হাজার বছর আগে এটা দেখে তারা হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন। গ্যালিলেও দেখেছিলেন ১৬১২তে।  ১৬৯০ সনে ফ্লামস্টিড ৬ বার দেখেন, কিন্তু তারা সবাই এটাকে তারা বলে ভুল করলেন। তারপর হার্শেল ১৭৮১ সনে এটা আবিষ্কার করেন যদিও তিনি এটাকে ধূমকেতু বলে বলছিলেন। 

 

বন্যা

নেপচুনের আবিষ্কার নিয়েও মজার কিছু কাহিনি আছে, তাই না। 


দীপেন

এবার আসি নেপচুনের আবিষ্কারে। নেপচুন খালি চোখে দেখা যায় না, এবং আলেক্সিস বোভার্ড নামে এক ফরাসী জ্যোতির্বিদ খেয়াল করলেন ইউরেনাসের পথটা যেমন হবার কথা তেমন নয়, বললনে আরো একটু গ্রহ নিশ্চয় আছে যেটা ইউরেনাসকে টানছে। এরপর ইংরেজ জন এডামস এবং ফরাসী আরবেইন লে ভেরিয়ের গণনা করলেন নেপচুনের অবস্থান। ভেরিয়েরের গণনা অনুজায় ১৮৪৬ সনে জার্মান জ্যোতির্বিদ গ্যালে নেপচুন আবিষ্কার করলেন। এটা নিয়ে ব্রিটেন ও ফরাসীদের মধ্যে একটা মন কষাকষি  হল। 


বন্যা

ইউরেনাস আমাদের দূরত্বের দিক থেকে সীমানায় ,সীমানা ঠিক কোথায়?

 

দীপেন

পৃথিবীর দুরত্ব সূর্য থেকে যদি এক হয় ১ জোতির্বিদ্যা একক তাহলে মঙ্গল হচ্ছে ১.৫ ব্রিহস্পতি হচ্ছে ৫ এর কাছাকাছি শনির অবস্থান হলো প্রায় ১০ এর কাছাকাছি আর ইউরেনাস হলো প্রায় ১৯.৫ বা ২০ এর কাছাকাছি  অর্থাৎ সূর্য থেকে শনির যে দুরত্ব শনি থেকে ইউরেনাস এর সেই দুরত্ব অতএব মাঝখানে ৫ টা গ্রহ রয়ে গেছে । কাজেই আমরা যখন শনির বাইরে চলে যাচ্ছি একটা বিশাল শুন্য অংশের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে এবং সেজন্যই ইউরেনাসকে এত বছর ধরে আবিষ্কার করা যায়নি। নেপচুন ৩০ জ্যোতির্বিদ্যার একক দূরে। 


বন্যা

এই ইউরেনাস এবং নেপচুন - এদের দুটোর রংই অদ্ভুত একটা নীল বা ইংরেজিতে যাকে টারকয়েজ বলে। সেটা কী একই কারণে? তারা কি বৃহস্পতি এবং শনির মত গ্যাস দিয়েই তৈরি?

 

দীপেন

এর বায়ুমন্ডল একই উপাদান দিয়ে তৈরি হাইড্রোজেন ও দ্বিতীয় অবস্থানে আছে হিলিয়াম দিয়ে তৈরি, তাদের রংটা আসছে অন্য ধরনের রাসায়নিক যৌগ পদার্থ থেকে  রঙটা মূলত মিথেনের কারণে, মিথেন লাল রঙ শোষণ করে নেয়। এবং নীল এবং সবুজ রংটা প্রতিফলিত করে  যেই মিথেন আমরা রান্নাঘরে ব্যবহার করি । এজন্য এই গ্রহগুলোর রঙ মুলত নীলচে সবুজ বা সবুজে নীল এরকম বলা যেতে পারে।। মিথেন মুলত  তবে তার নিচে অ্যামোনিয়া, মিথেন, বরফ ও একদম ভেতরে পাথুর কেন্দ্র আছে। এত্র একটা হাল্কা চক্র বা ring আছে। তবে এটা শনির মত নয়, এর কয়েকটি চক্র ধূলা, বরফ ইত্যাদি তরি, দেখা খুব মুশকিল। মাত্র ১৯৭৭ সনে আবিষ্কার হয়েছে। 


আমরা যদি ইউরেনাস এবং নেপচুনের গঠন খেয়াল করি ...

Uranus also has faint rings. The inner rings are narrow and dark. The outer rings are brightly colored and easier to see. 500+ miles speed hellish storms. 

বন্যা -> ইউরেনাসেরো তো চক্র আছে? আমরা বেশিরভাগ তথ্যই যা জানি ইউরেনাস সম্পর্কে তা কি ভয়েজার ১ এবং ২ থেকেই জানি?  

দীপেন
ইউরেনাস এর চক্র টা ক্ষীণ, শনির যেরকম পাথরের টুকরো আছে ইউরেনাসের চক্রে সেরকম পাথরের টুকরো নেই ইউরেনাসের চক্র মুলত ধুলো এবং বরফের টুকরো দিয়ে তঈরি আসলে । ইউরেনাসের যে চক্র আছে সেটা আমরা ১৯৭৭ সালের আগে জানতাম না এটা কাকতালিয়ভাবে আবিষ্কার করেছি। এটা যখন পর্যবেক্ষণ করেছি তখন একটা তারা ইউরেনাসের পিছন দিকে যাচ্ছিল কিন্তু ইউরেনাসের পিছন্দিকে যাওয়ার আগেই তারাটা অদ্দ্রিশ্য হয়ে যায় তারমানে ওখানে কিছু একতা আছে তখন ধারণা করার হল যে ইউরেনাসের পিছরে যাওয়ার আগেই সে অদ্দ্রিশ্য হয়ে গেছে কাজেই সরাসরি ভাবে এটাকে অনুমান করে প্রথমে আমরা আবিষ্কার করেছি পরবর্তীকালে অবশ্য এর ছবি তোলা হয়েছে এবং ভয়েজার ২ যখন ইউরেনাসের পাশ দিয়ে যায় তখন খুব ভালোভাবে আমরা এই চক্রটি দেখেছি এখানে চক্রের উতস সম্পর্কে যদি কিছু বলা যায় শনির চক্রের উতস সম্পর্কে যেমন আমাদের কিছু অনুকল্প আছে হাইপোথিস আছে এখানে হতে পারে গ্যাস এবং ধুলার থে সৃষ্টি হচ্ছিল সেই গ্যাস এবং ধুলার অবশিষ্টাংশ রয়ে গেছে ইউরেনাসের চারদিকে আবার এমন ও হতে পারে আশেপাশে যে গ্রহানুপুঞ্জ আছে তার থেকে ধুলা পরবর্তীকালে এসে জড়ো হয়েছে । কাজেই এটা বলা মুশকিল যে আসলে কি হয়েছে । অনেকে যেমন বলে পৃথিবীর কি চক্র ছিল আগে? থাকতে পারে পৃথিবী যখন প্রথম সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবীরো হয়ত চক্র ছিল কিন্তু সেটা অস্থিত হওয়ার কারণে হয়ত পৃথিবীর বুকে পতিত হয়েছে বলে চক্রটা আর নেই   


ভয়েজার ২ হল একমাত্র যান যা ইউরেনাসের পাশ দিয়ে গেছে। 

 

বন্যা

এবার আসি ইউরেনাসের অদ্ভুত সাইড ওয়েজ ঘোরাতে। শুনেছি এই কারনে ইউরেনাসের দিন রাত, ঋতু পরিবর্তন সব  নাকি অদ্ভুত


দীপেন

প্রথমত হচ্ছে তার যে মেরুটি আমরা যেটাকে উত্তর মেরু বলি এখানেও আবার জোতির্বিদ্যায় কোনটিকে উত্তর মেরু বলে দক্ষিণ বলে সে নিয়ে একটা সংগা আছে সেটা হচ্ছে সৌরীয় তলের ৯০ ডিগ্রিরও নিচে কোণা হয়ে ঘোরে অনেকটা তার মেরুটা সুর্যের দিকে বলা যেতে পারে। তার বছর হচ্ছে ৮৪ বছর অর্থাৎ ৮৪ বছরে একবার সূর্যের চারিদিকে ঘুরে আসে অর্থাৎ ৪২ বছর দিন হয় আর ৪২ বছর রাত হয়। মেরুর দিকটা কিন্তু সুর্যের দিকে থাকে  গ্রহটি প্রতি ৮৪ বছরে একবার করে সূর্যের চারদিকে ঘোরে, যেহেতু এটি প্রায় ৯৮ ডিগ্রী কাত হয়ে থাকে লম্ব থেকে এখানে ৪২ বছর দিন আর ৪২ বছর রাত। 

সে যে কাত হয়ে  গেল... 

Uranus' unique sideways rotation makes for weird seasons. The planet's north pole experiences 21 years of nighttime in winter, 21 years of daytime in summer and 42 years of day and night in the spring and fall.

 

বন্যা

ইউরেনাস তো নেপচুনের চেয়ে বড়? 

 

দীপেন

নেপচুনের ভর  ইউরেনাসের চেয়ে বেশি। বৃহস্পতি ভর সবচেয়ে বেশি, তারপরে শনি।


বন্যা

নেপচুন কত দূরে আমাদের থেকে?  নেপচুনের হেলিশ ঝড় - ১৫০০/ঘন্টা বেগে নাকি ঝড় হয়! আচ্ছা ধরেন আমরা যদি একটা সাইন্স ফিকশানের মত স্পেস স্যুট পড়ে নেপচুনে যেতে পারি, যেটা আসলে অসম্ভব, কিন্তু যদি পারি তাহলে কী দেখব?

 

দীপেন

প্রথমত নেপচুনে কোনো নিরেট নেই যাতে আমি পা রাখতে পারব আমি নাম হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম গ্যাসের মধ্যে দিয়ে প্রথমে নেমে যাব ধীরে ধীরে সেখানে চাপ বাড়বে তো প্রথমেই বলি এই সমস্ত গ্রহগুলো থেকে প্রচুর পরিমানে তাপ বিকিরিত হয় যার ফলে নিচের থেকে একতা শক্তি বাইরে বেরিয়ে আসতে চায় এবং সেই শক্তি যখন বের হয় তা অনেকটা সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় তার বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পরে এই সমস্ত ঝড় হওয়ার এটা একটি কারন এবং আরেকটি কারণ এগুলো তার গ্রহের অক্ষের চারিদিকে ঘোরে নেপচুন তার অক্ষের চারিদিকে ঘুরে আসে ১৬ ঘন্টায় ১ বার পৃথিবী ঘোরে ২৪ ঘন্টায় ১ বার। নেপচুনের ব্যাসার্ধ প্রায় ২৪০০০ কিলোমিটার আমাদের পৃথিবির ব্যাসার্ধ হচ্ছে ৬, ৪০০ কিলোমিটার কাজেই এত বড় একতা গ্রহ মাত্র ১৪/১৫ ঘন্টায় ঘুরে আসছে কাজেই সেখানে বিশাল পরিমাণের করিয়লী বল অনুভব করা যাবে যেটা আমাকে একতা ঘুর্ণন প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে যাবে আমাদের পৃথিবিতে যে ঝড় হয় সেটিও এই কোরিয়লী ফর্স এর কারনেই হয় প্রথমত আমি একটা ঘুর্ণিঝরের মধ্যে পরে যেতে পারি দ্বিতিয় কথা সেখানে আবার বিদ্যুৎ চমকাতে পারে সেখানে বিদ্যুৎ হতে পারে আমাদের মেঘের মত জলের মত আবার মিথেনের মেষ ও হতে পারে অবশেষে একটা নিরেটের কাছে পৌছানো যাবে যা হবে একটা লোহা জাতীয় জিনিস ছিল এবং তখন তরল অবস্থা থেকে সে ঘনীভূত হওয়া শুরু করল এবং সবচেয়ে যেটা ঘন পদার্থ সেটা পৃথিবীর কেন্দ্রে পতিত হল এবং সেজন্য পৃথিবীর কেন্দ্রটা এরকম সলিড এবং নিরেট । এইসমস্ত গ্রহের ক্ষেত্রে হয়ত সেরকম মিশ্রন হয়নি এজন্য তার কোরে হয়ত পাথরের মত একটা জিনিস রয়ে গেছে ।

 

বন্যা

মানে এইসমস্ত গ্রহ বলতে আপনি চারটি গ্যাসিয় দানবের কথা বলছেন। একটু আমাদের বলবেন প্লুটোকে কেন গ্রহের তালিকায় আনা হলো এবং তারপরে কেন তাকে বের করে দেয়া হল গ্রহের তালিকা থেকে?

 

দীপেন

১৯৩০ সালে এই গ্রহটি আবিষ্কার করে ক্লাইভ টম্ব তখন ধারণা করা হয়েছিল বেশ কিছু বছর যে প্লুটো পৃথিবীর সমান একটি গ্রহ কিন্তু এখন আমরা জানি প্লুটোর ভর হচ্ছে পৃথিবীর ভরের ০.২ শতাংশ ।

 

বন্যা

তারপর তাকে বের করে দেয়া হল কেন?

 

দীপেন

পৃথিবীর মত চারটে গ্রহ শুক্র, বুধ, পৃথিবী এবং মঙ্গল এরা পাথুরে গ্রহ। আর বৃহস্পতি, শনি, নেপচুন, ইউরেনাস হলো গ্যাসীয় গ্রহ। কিন্তু প্লুটো এই বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে না। আবার প্লুটো সূর্যকে কেন্দ্র করে কোনাকুনিভাবে ঘুরে যা অন্য কোনো গ্রহের বৈশিষ্ট্য নয়। ১৯৯০ সালে প্লুটোর থেকেও দূরে কসমিক অবজেক্ট পাওয়া গেল এরপর অনেক কসমিক অবজেক্ট পাওয়া গেল।

 

আবার গ্রহের বৈশিষ্ট্যের জন্য ভোট হলো –

১. গ্রহকে সূর্যের চারপাশে ঘুরতে হবে।

২. গোলাকৃতি হতে হবে

৩. তার আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে।

 

প্লুটোর পাশে ছিল শ্যারন যা ছিল প্লুটর চেয়ে খানিক ছোট। অর্থাৎ তাকে প্লুটো পরিষ্কার করতে পারেনি। তাই একে বামন গ্রহ বলা হল । এখন আমাদের ৫ টি বামন গ্রহ আছে। সেরেস , প্লুটো, এরিস, মাকিমাকে এবং হাওমেয়া এই পাচটিকে আপাতত বামন গ্রহ হিসেবে রাখা হয়েছে

 

বন্যা
প্লুটোর কক্ষপথটাতো একটু পাগলা টাইপের আমাদের জীবদ্দশায় প্লুটো ইউরেনাস এবং নেপচুনের মাঝখানে ছিল এখন তো আবার নেপচুনের বাইরে তো এই কখপথের ব্যাপারটা নেপচুনের সাথে কি তাহলে প্লুটোর সংঘর্ষ হয়ে যেতে পারে?

 

দীপেন

না, প্লুটো যখন নেপচুনের কক্ষপথ পার হয়ে আসে তখন প্লুতো নেপচুনের বেশ দূর থেকে পার হয়ে আসে আবার প্লুটো তিনবার যখন সুর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসে নেপচুন তখন দুবার ঘুরে আসে এবং এই পদ্ধতিটা কখনোই প্লুটকে নেপচুনের কাছাকাছি আসতে দেবে না। তবে এর মানে এই নয় যে প্লুটোর কক্ষপথ সবসময় একই থাকবে , কারণ প্লুতো যখন ৫০ জতির্বিদ্যা একক দূরে চলে যায় তখন ওখানে অনেক কাইপারভেল্ট থাকতে পারে যারা প্লুটোর কক্ষপথ বাকিয়ে দিতে পারে । ২০১৫ সালে নিউ হরাইজন নামে একটি মহাকাশজান প্লুটোর পাশ দিয়ে যায় এবং প্লুটোর কিছু ছবি পাঠায়। সেখানে দেখা যায় এর পৃষ্ঠে মরুভুমির মত বালি আছে এর কারণ এখন জানা যায়নি এখন মনে করা হয় প্লুটর অভ্যন্তরে জলের সমুদ্রের মত থাকতে পারে


হুম করা যেতে পারে, তবে বলতে হবে যে প্রথমে হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের গ্যাসের মধ্যে দিয়ে পড়বে, মাঝে মধ্যে মেঘ থাকবে জলের মিথেনের। বিদ্যুৎ চমকাবে, চাপ বাড়বে। একদম শেষে নিরেট core

Neptune at least five main rings and four prominient ring arcs that we know of so far. Starting near the planet and moving outward, the main rings are named Galle, Leverrier, Lassell, Arago and Adams. The rings are thought to be relatively young and short-lived


বন্যা
আচ্ছা এরও পরে হচ্ছে সেই বিখ্যাত বামুন গ্রহ বা যাকে আমরা গ্রহ বানিয়ে আবার ডিমোট করে দিয়েছি সেই প্লুটোতে আসি। আমরা প্লুটোর কথা না বলে তো গ্রহ নিয়ে আলোচনা শেষ করতে পারিনা, কাইপার বেল্ট নিয়ে আলোচনা করার আগে জানতে  চাই কেন প্লুটোকে গ্রহ বানালো হল তারপরে আবার গ্রহ থেকে বের করে দেওয়া হলো? What does a planet really mean? - এই আলোচনায় গেলে তো অনেক কথা বলতে হবে

প্লুটোতে সূর্য থেকে আলো পৌঁছাতে সাড়ে পাঁচ ঘন্টা লাগে। অনেকেই মনে করেছিলেন ইউরেনাসের কক্ষ্পথ ব্যাখা করতে আর একটা গ্রহ লাগবে। কিন্তু তারা প্রথমে মনে করেছিল সেটা পৃথিবীর মত বড় হবে। ১৯৩০ সনে আবিষ্কার হয় ফ্লাগস্টাফ observatory তা। এটা ছিল লোয়েলের যে ভেবেছিল মঙ্গলে সভ্যাত আছে।ফ্লাগস্টাফ observatory নিয়ে আরেকটা কথা বলি, ... মঙ্গল গ্রহে। প্লুটো আসলে কি সেটা বুঝতে আমাদের ১৯৯২ এরকম সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল যখন আমরা নেপচুনের বাইরে আর একটি খগোল বস্তু আবিষ্কার করলাম। 

বন্যা ->প্লুটো বেশ পাগলা  ধরণের।  তার কক্ষপথ তো বদলে যায়, তার  কী নেপচুনের সাথে সংঘর্ষ হতে পারে

বন্যা ->আমাদের লাইফটাইমে প্লুটো নেপচুনের যেয়ে সূর্যের কাছে ছিল, অর্থাত ইউরেনাস আর নেপচুনের মাঝে ছিল। তারপরে সে আবার নেপচুনের পরে চলে যায়। 

Sometimes Neptune is even farther from the Sun than dwarf planet Pluto. Pluto's highly eccentric, oval-shaped orbit brings it inside Neptune's orbit for a 20-year period every 248 Earth years. This switch, in which Pluto is closer to the Sun than Neptune, happened most recently from 1979 to 1999. Pluto can never crash into Neptune, though, because for every three laps Neptune takes around the Sun, Pluto makes two. This repeating pattern prevents close approaches of the two bodies.

- নিও হোরাইজন প্লুটোর পাশ দিয়ে গেছে। 

বন্যা -> আমি যেভাবে  বুঝি প্লুটোকে গ্রহ বললে এরকম প্রায় ১০০ কিছু অব্জেকটকে গ্রহ বলতে হবে! গ্রহের সংগা আসলে কি

বন্যা -> কাইপার বেল্ট নিয়েও তো অনেক আলোচনা , যদিও নিয়ে আমরা এখনো অত বেশি কিছু জানিনা। তবে প্লুটোর মত যে অন্যান্য কসমিক 

শেষবার প্লুটো নেপচুনের থেকে সূর্যের কাছাকাছি এসেছিল ১৯৭৯ থেকে  ১৯৯৯, এরপর হবে ২২২৭তবে এই দুটির সংঘর্ষের কোনো কারণ নেই। 

সবচেয়ে বেশি দেখা ভিডিও দেখুন | Most Watched Video

?>

নিবন্ধসমূহ | Articles