ভাষা চলমান, সজীব এবং ক্রমাগতভাবে বদলাতে থাকে ভিন্ন বাঁকে, বিভিন্নভাবে। এই পরিবর্তনের বিভিন্ন কারণ থাকে। যেমন ধরুন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে ছোটো ছোটো পরিবর্তন জড়ো হয়ে নতুন উপভাষার জন্ম দেয়। আবার যেমন, অন্য ভাষার দীর্ঘ সংস্পর্শে একটি ভাষা উল্লেখযোগ্যভাবে বদলে যেতে পারে।
বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আজকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশের জটিল দিকগুলো বুঝতে সুবিধা হবে।
আজকে আমরা বাংলা ভাষার ইতিহাস বিষয়ে জানবো ভাষাবিদ ড. আহমেদ শামীমের সাথে।তাঁর গবেষণার মূল বিষয়বস্তু ভারতবর্ষের অন্যতম আদিভাষা মুন্ডা থেকে আসা কডা ভাষার ব্যাকরণ এবং কডার উপর বাংলা ভাষার প্রভাব। বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ নিয়ে কাজ করেছেন এমন ভাষাবিদদের কাজের ওপর ভিত্তি করেই ড. শামীমের সাথে বোঝার চেষ্টা করবো আমাদের ভাষার ইতিহাস।
প্রথমেই আমরা খুব সংক্ষেপে জানবো, ভাষা বলতে আসলে আমরা কী বুঝি।
তারপর কথা বলব ইন্দো-আর্য বা ইন্ডিক ভাষার বিকাশ নিয়ে।
এবং এরপরই আসবে বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাসটির প্রসঙ্গে।
ভাষা হচ্ছে মানুষের ভাব তৈরি এবং আদান-প্রদানের ব্যবস্থা - এক কথায় ভাষিক ব্যবস্থা। আবার সেই ভাষিক ব্যবস্থার মাধ্যমে তৈরি বুলি যেমন ধরুন বাংলা, হিন্দি বা স্প্যনিশকেও আমরা ভাষা বলি। ভাষা কিংবা ভাষিক ক্ষমতার উৎপত্তি জানার জন্য মানুষের বিবর্তনের ইতিহাসটা বোঝাও কিন্তু বেশ জরুরি।
আধুনিক মানুষের বিবর্তন ঘটে আফ্রিকায়, আজ থেকে প্রায় তিন লক্ষ বছর আগে। তবে ভাষা তৈরির জন্য দরকারি যেসব উপাঙ্গ আছে আমাদের শরীরে সেগুলোর বিকাশ ঘটে মোটামুটি এক লাখ বছর আগে। ৭০ হাজার বছরের আগের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোতে মানুষের ভাষা ব্যবহারের প্রথম নিদর্শন দেখা যায়।
আফ্রিকার সেই মানুষেরা বা homo sapiens রা, ৭০ হাজার থেকে এক লাখ বছর আগে সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই সাথে নিয়ে যায় তাদের ভাষা। শুনতে অবাক লাগলেও গবেষকেরা মনে করেন, আজকের বিশ্বের মৃত এবং জীবিত সব ভাষার আদি উৎস হলো আফ্রিকার ওই আদি মানুষের ভাষা।
তারপরে মানুষ যত ছড়িয়ে পড়তে থাকে তাদের আদি ভাষা বদলাতে থাকে, সেখান থেকে শাখা প্রশাখা বিস্তার করতে করতে জন্ম হয় বহু নতুন নতুন ভাষার। এই যে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাগুলোকে বিভিন্ন পরিবারভূক্ত করা হয় - আমরা যে ইন্দো-ইউরোপীয়, অস্ট্রো-এশিয়ান বা দ্রাবিড়ীয় ভাষা পরিবারগুলোর কথা শুনি - আরো পেছনে গেলে দেখা যাবে যে তারাও আরো বড় কোন মহা-পরিবারের সদস্য। এভাবে পেছনে যেতে যেতে, একসময় আমরা আফ্রিকায় প্রথম ভাষায় উদ্ভবের জায়গায় চলে যেতে পারি। শুধু তাই নয়, বর্তমান বিশ্বের ভাষাগুলোর ব্যাকরণ বিশ্লেষণ করে নৌম চোমস্কি এবং সঞ্জননী বা generative ভাষাবিদরা প্রস্তাব করেন যে, মানুষের সব ভাষার পিছনে আসলে একটা সার্বজনীন ব্যাকরণও কাজ করে।
এ তো গেল ভাষার খুব সংক্ষিপ্ত জীব-বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। আগামীতে মানব সমাজে ভাষার উৎপত্তি এবং বিকাশ নিয়ে আরেকটি ভিডিও বানানোর ইচ্ছে রইলো।
আসুন, এখন তাহলে দেখা যাক আমরা বাংলা ভাষা বলতে ঠিক কী বোঝাচ্ছি?
প্রথমে মনে রাখা দরকার, ভাষা মানে জন্মগতভাবে সম্পর্কিত এক সেট বা এক গুচ্ছ উপভাষা।
এখন সেই গুচ্ছে কোন কোন উপভাষা থাকবে? তার উত্তর খুঁজতে গেলে অন্তত দুটি বিবেচনা মাথায় রাখতে হবে।
এক, উপভাষীরা একে অন্যের উপভাষা না শিখেই কত শতাংশ বুঝতে পারেন।
এবং দুই, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে তারা নিজেদের একই ভাষিকগোষ্ঠীর সদস্য মনে করেন কি না।
যেমন ধরুন বাংলা ভাষা মানে ঠিক কাকে বোঝাবেন? আজকের প্রমিত বাংলা, ঢাকা, বিক্রমপুরের বাংলা, বরিশাল, কুমিল্লা বা, ময়মনসিংহের বাংলা, নাকি কোলকাতার বাংলা? - সবগুলো মিলেই কিন্তু বাংলা ভাষা।
আবার একটু আগে বলা বিবেচনা দুটোর ভিত্তিতে অনেক সময়ে চাটগাঁইয়া, সিলেটি, এবং রংপুরিয়াকে আলাদা ভাষা দাবী করা হয়। আমরা এখানে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং ভাষাতাত্ত্বিক বিবেচনায় যে সব উপভাষাগুলো এখন বাংলা ভাষার সদস্য বলে পরিচিত তাদের সেটকেই বাংলা ভাষা বলছি।
কিন্তু কোথা থেকে এলো আমাদের এই বাংলা ভাষা?
একসময় বলা হতো যে বাংলা এসেছে সংস্কৃত থেকে - এই অনুকল্পটি আসলে প্রতিষ্ঠা করা হয় বৃটিশ ঔপনিবেশিক যুগে।
ল্যাতিন থেকে ইতালিয়, ফরাশি এবং স্প্যানিশ ভাষা যেভাবে এসেছে, সেই একই ছাঁদ ব্যবহার করে, পশ্চিমের অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতে সবকিছুকে ব্যাখ্যা করার ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভংগি থেকেই ভাবা হয়েছিল যে সংস্কৃত থেকে বাংলা, হিন্দি, মারাঠি ভাষার উদ্ভব হয়েছে।
কিন্তু আধুনিক গবেষণা থেকে আমরা এখন জানি, বাংলা সরাসরি সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত কোন ভাষা নয়।
৪০০০-১০০০ বছর আগে প্রোটো ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষায় কথা বলা মধ্য-এশিয়ার জনগোষ্টী পশ্চিমে আর পূর্বে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং তাদের ভাষারও বিভিন্ন শাখার সৃষ্টি হয়। এরই একটি শাখার নাম ইন্দো-ইরানীয় শাখা। আর ইন্দো-ইরানীয় শাখার একটি প্রশাখা হলো ইন্দো-আর্য বা ভারতীয়-আর্য ভাষা।
থিংকের আর্যরাই কি গড়েছিলো প্রাচীন ভারত? ভিডিওটিতে আমরা দেখেছিলাম যে এই ইন্দো-আর্যভাষীরা ভারতে আসে সিন্ধু সভ্যতার শেষের দিকে।
ভারতে ইন্দো-আর্য ভাষার আদিতম নিদর্শন পাওয়া যায় আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৫ শতকে রচিত ঋগ্বেদে। তবে..ওই সময়ের মধ্যে ভারতে আসা আর্যভাষীরা সবাই যে ঋগ্বেদের উপভাষাটিতেই কথা বলতো তেমনটা কিন্তু বলা যায় না। আবার, ঋগ্বেদে সংস্কৃত বলে কোন ভাষার নাম উল্লেখ নেই।
আর্য ভাষার প্রমিত উপভাষার নাম যে সংস্কৃত - তার প্রথম উল্লেখ পাচ্ছি আমরা রামায়ণে, হনুমানের মুখে! -খৃষ্টপূর্ব আনুমানিক ৬ থেকে ৫ শতকে। হনুমান বলেন, সংস্কৃত ব্রাহ্মণের ভাষা।
এর কাছাকাছি সময়ে আবার পাণিনি তাঁর সময়ে শিষ্টরা যে ইন্দো-আর্য ভাষা ব্যবহার করতেন ->তার ব্যাকরণ রচনা করেন। তিনিও কিন্তু সে ভাষার নাম সংস্কৃত বলেননি, বরং বলেছেন ছান্দস, এবং শিষ্টদের প্রমিত উপভাষাটিকে বলেছেন "ভাষা", আর আর্যভাষার অন্যান্য উপভাষাগুলোকে বলছেন "অপভাষা"। ইন্দো-আর্য ভাষীরা ভারতের আসার শুরু থেকেই প্রমিত উপভাষার পাশাপাশি যে সব অপ্রমিত ভাষা বা তথাকথিত সেই "অপভাষা"য় কথা বলতো পরবর্তীকালে তাদেরই সাধারণ নাম দেয়া হয়েছে প্রাচীন প্রাকৃত।
খৃষ্টপূর্ব ৫ শতকের দিকে প্রাকৃতভাষাগুলোর মধ্যে কয়েকটি উপভাষা, যেমন ধরুন পালি এবং শৌরসেনী, মহারাষ্ট্রী, ও মাগধী প্রাকৃত সৃজনশীল এবং ধর্ম সাহিত্য রচনার মাধ্যম হয়ে ওঠে।
সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃত ভাষাগুলোর পরিবর্তিত রূপের নাম দেয়া হয় অপভ্রংশ এবং পরে.. ৬ শতকের দিকে তারা যে রূপ লাভ করে তাদেরকে বলা হয় অবহট্ঠ ভাষা। আর এ থেকেই জন্ম হয় নব আর্য ভাষাগুলোর। যেমন মাগধী প্রাকৃত থেকে কয়েকটি পর্যায় পেরিয়ে জন্ম নেয় ভোজপুরি, মগহি এবং মৈথিলী ভাষা, -অসমীয়া, উড়িয়া এবং আমাদের বাংলা ভাষা।
আবার এদের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত মিল থাকায় ভোজপুরী, মগহি ও মৈথিলীকে বিহারি ভাষাগুচ্ছ বলা হচ্ছে
এবং বাংলা-অসমীয়া-উড়িয়াকে বলা হয় গৌড়ীয় ভাষাগুচ্ছ।
চর্যাপদসংগ্রহের চর্যাগুলোতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তাতেই প্রথম এই প্রাচীন বাংলা-অসমীয়া-উড়িয়া ভাষার মিলটা দেখতে পাই। এরপর গৌড়ীয় ভাষাগুচ্ছ আবার ভাগ হতে শুরু করে প্রাচীন উড়িয়া এবং বঙ্গ-কামরূপীতে। আর শেষে...এই বঙ্গ-কামরূপী থেকেই এসেছে বাংলা এবং অসমিয়া ভাষা।
চর্যাসমূহের রচনাকাল ধরে হিসেব করলে বাংলা এবং অসমিয়ার বিভাজন হয়েছে চর্যাযুগের পরে ....মানে... বারো শতকের পরে বলে ধরা যায়।
আমাদের বাংলা ভাষার উপর কিন্তু সে সময়ের স্থানীয় আদিবাসীদের ভাষারও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
অনুমান করা হয়, মগধের আদি অধিবাসী মুন্ডাভাষীদের প্রভাবে মাগধী প্রাকৃত অন্যান্য প্রাকৃতভাষা থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হয়ে গিয়েছিল।
শৌরসেনী প্রাকৃত থেকে আসা হিন্দি-উর্দু বা মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত থেকে আসা মারাঠিতে বস্তুর লিংগভেদ আছে -
যেমন ধরুন, হিন্দি-উর্দুতে কিতাব হচ্ছে নারী, কলম হচ্ছে পুরুষ, কিন্তু... এদিকে মাগধী প্রাকৃত থেকে আসা ভাষাগুলোতে জড় বস্তুর কিন্তু লিঙ্গভেদ নেই।
আরোও বেশি পরিবর্তন ঘটেছে মগধের পূর্বাঞ্চলের বা গৌড়ীয় ভাষাগুচ্ছে। হিন্দি-উর্দুতে কর্তার লিঙ্গ এবং বচন ভেদে ক্রিয়াপদে ভিন্ন ভিন্ন বিভক্তি যুক্ত করতে হয়। এই নিয়ম.. এখনো মাগধী ভাষাগুচ্ছের বিহারি শাখায় কিছুটা রয়ে গেছে, কিন্তু গৌড়ীয় শাখায় নেই! - অর্থাৎ বাংলা কিংবা অসমিয়ায় নেই।
তাছাড়া ধরুন গৌড়ীয় ভাষাগুলোর ধ্বনিভান্ডার ও ধ্বনিতত্ত্বেও মুন্ডা ভাষার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ফলে তা হিন্দি, মারাঠি থেকেতো বটেই এমনকি বিহারি ভাষাগুলো থেকেও বেশ আলাদা হয়ে যায়।
আনুমানিক চোদ্দ শতকে রচিত বড়ু চন্ডিদাশের শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে দেখা যায় যে বাংলা অন্যান্য গৌড়ীয় ভাষা, যেমন অসমীয়া থেকেও উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হয়ে গেছে।
গৌড়ের আর্যীকরণের ফলে মুন্ডাভাষীরা গৌড়ীয় আর্য ভাষাগুলোকে নিজের ভাষা করে নিয়েছে, তবে এদের অধিকাংশই একসময় অস্ট্রেশিয়াটিক ভাষা পরিবারের সদস্য মুন্ডাভাষী ছিলো - এর ফলে গৌড়ীয় ভাষাভাষীদের সংস্কৃতিতেও কিন্তু ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
মুন্ডাভাষাগুলোও আর্য ভাষাগুলোর প্রভাবে ব্যাপকভাবে বদলে গেছে। তবু জন্মগত সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পরিবারভিত্তিক শ্রেণিবিভাজনের দিক থেকে চিন্তা করলে বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় পরিবারেরই সদস্য এবং সাঁওতালি কিংবা মুন্ডারি অস্ট্রো-এশিয়াটিক পরিবারের সদস্য।
এছাড়া অন্যান্য অনেক ভাষার মতই বাংলাও পথ চলতে চলতে বিভিন্ন কারণেই বহু ভাষার শব্দকে নিজের করে নিয়েছে। মাগধী প্রাকৃতভাষা মুন্ডা ভাষা ছাড়াও দ্রাবিড়, ভোট-বর্মীর মত দেশি ভাষাগুলোর সংস্পর্শে আসায় তাতে অনেক দেশি শব্দ ঢুকে পড়েছিল এবং বাংলা সেগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পায়।
আবার বাংলার জন্মলগ্ন থেকে কয়েক শতক পর্যন্ত সংস্কৃত ছিলো রাজভাষা, সেকারণে বাংলা ভাষায় বহু সংস্কৃত শব্দ দেখা যায়। অন্যদিকে সংস্কৃত তখনও দাপুটে সাহিত্যের ভাষা। ফলে মধ্যযুগের অনুবাদ সাহিত্যে, এমনকি আধুনিক যুগের সাধু কিংবা চলিত বাংলায় লেখা সাহিত্যে, সংস্কৃত-সাহিত্যের অনুরাগী এবং পারদর্শী লেখকদের কল্যাণে ব্যাপকভাবে সংস্কৃত শব্দ বাংলায় আমদানি হয়।
এছাড়া তেরো শতকে বাংলায় মুসলমান শাসনের পত্তন হলে, প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক, সাহিত্যিক এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে আরবি-ফারসি এবং তুর্কি ভাষার বহু শব্দ বাংলা ভাষায় ঢুকতে শুরু করে। এরপর আবার ইউরোপীয় এবং ইংরেজরা বঙ্গে নিয়ে আসে তাদের নিজ নিজ ভাষা - আমাদের ভাষায় ঢোকে পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ফরাসি এবং ইংরেজি ভাষার শব্দ। ইংরেজি ভাষার দাপট তো এখনো চলছে প্রায় সারা পৃথিবী জুড়েই।
একটি ভাষার শব্দভান্ডারে অন্যান্য ভাষার শব্দ থাকা বিরল কিছু না এবং শুধু শব্দভান্ডারের শব্দের উৎস বিবেচনা করে কিন্তু ভাষার জাত নির্ণয় করা হয় না। এই যেমন ইংরেজি একটি জার্মানিক ভাষা, কিন্তু এর প্রায় সত্তর শতাংশ শব্দই জার্মানিক নয়। সেদিক থেকে কিন্তু বাংলা ভাষা শব্দ ভান্ডারে বাংলা শব্দই বেশি।
প্রতিবছর পৃথিবী থেকে নয়টির মতো ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগই মরে যাচ্ছে অন্য কোনো ক্ষমতাশালী ভাষার ও ভাষাগোষ্ঠীর দাপটে। আমাদের একুশের চেতনা যেন সেই ক্ষমতার সামনে প্রতিবাদী হয়ে দাড়াতে এবং বিভিন্ন ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে প্রেরণা যোগায়- এই কামনা রেখে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।