ডাউকি ফল্ট: সিলেটে ভূমিকম্পের ঝুঁকি
ক্লাইমেট
চেইঞ্জের জন্য বাংলাদেশের উপকূল ধীরে ধীরে ডুবতে থাকবে। সেটা থেকে নিরাপদ
এলাকাগুলির মধ্যে একটা হচ্ছে বৃহত্তর সিলেট। কিন্তু সিলেটের মাথার উপর অনেক দিন
থেকে অন্য একটা বিশাল বিপদ ঝুলে আছে--ভূমিকম্প।
১৮৯৭ এবং ১৯০৫ এ ভারতের আসামে দুইটা বিশাল ভুমিকম্প হয়েছিল। সেই ভুমিকম্পের এলাকার কিছু অংশ বর্তমান সিলেটে। কিছু কিছু জায়গা ৩ সেকেন্ডে ৫০ ফিট উচু হয়ে গিয়েছিল।
ওই এলাকাতে মাটির ৫ থেকে ২০ মাইল নিচে ৭৮ মাইল লম্বা একটা ফল্ট লাইন আছে। ঢাকাতে এপিসেন্টার না হলেও--মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরে এরকম একটা ভুমিকম্প আবার হলে সারা বাংলাদেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশকে ভূমিকম্পের
ঝুঁকির তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে সিলেট এলাকার
লাল রঙ ইঙ্গিত দেয়, সবচাইতে
বড় ঝুঁকিতে এই এলাকা। সিলেটের জাফলং-এ গিয়ে যারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোহিত হয়েছেন, তারা অনেকেই জানেন না, ঐ এলাকায় মাটির নিচে আছে ডাউকি চ্যুতি বা ডাউকি ফল্ট, যেটা বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিস্তৃত। ২য় ছবিতে সবুজ লাইন দিয়ে এটা দেখানো হয়েছে। আগের ভূমিকম্পগুলি ঐ
ছবিতে লাল বৃত্ত দিয়ে দেখানো হয়েছে--যত বড় বৃত্ত, মাত্রা তত বেশি ছিল। ছবিটা দেখলেই বোঝা যায় যে বাংলাদেশের বেশিরভাগ
ভূমিকম্প ঐ এলাকাতেই হয়েছে। ২য় লিংকে ১৫৪৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশের বড়
ভূমিকম্পগুলির একটা তালিকা আছে।
কিন্তু ভূমিকম্প কেন হয়? কয়েকটা কারন থাকতে পারে, তার মধ্যে একটা হচ্ছে, টেকটোনিক প্লেইট ভেঙ্গে গিয়ে তার শক্তি বের হয়ে আসে এবং ফলশ্রুতি হচ্ছে ভূমিকম্প, আর যেখানে ভাঙ্গে, সেটাই ফল্ট বা চ্যুতি। সিলেট ভারত সীমান্তে এই রকম একটা বিশাল ফল্ট লাইন আছে, যার নাম ডাউকি ফল্ট (২য় ছবির সবুজ লাইন), এবং এটা শুধু সিলেটবাসীদের জন্য না, বাংলাদেশের একটা বড় এলাকার জন্য বিপদজনক।