গত কয়েকশো বছরের জীবাশ্মবিদদের গবেষণায় ডাইনোসরদের সম্পর্কে যতো তথ্য বেরিয়ে এসেছে, সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ডাইনোসর নিয়ে ততোই বদলেছে আমাদের ধারণা। সাথে সাথে বদলে গেছে সিনেমায় বা ছবিতে ডাইনোসরদের চরিত্র। সিনেমা, আর্টসহ বিভিন্ন শিল্প মাধ্যম এবং ডাইনো-বিজ্ঞান কিভাবে একে অন্যের পরিপূরক হয়ে কাজ করে, সেটা নিয়েই ‘থিংক’ এর প্রথম তথ্যচিত্র।
আজকের মানুষেরা যেমন বিভিন্ন জাতি গোত্রে ভাগ হয়ে সমস্ত পৃথিবী জুড়ে রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে, মানুষের আবির্ভাবের আগে ঠিক এমন একটা রাজত্ব ছিল ডায়নোসরদের। ডাঙায়, জলে, স্থলে সবখানেই ডায়নোসরেরা বিরাজমান ছিল। কোনো এক দুর্ঘটনায় বৈচিত্র্যময় ডায়নোসরেরা বিলুপ্ত হয়ে যায়। বিলুপ্ত হয়ে গেলেও তাদের কোনো কোনোটির দেহাবশেষ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়। এই দেহাবশেষের সূত্র ধরে কারো কারো মনে প্রশ্ন জাগে, বিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত হয়েছে, উন্নত বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে কি সেই ডায়নোসরদের আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায় না? এই চাহিদা বা আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন ঘটেছিল হলিউড চলচ্চিত্র ‘জুরাসিক পার্ক’ এর মাঝে। জুরাসিক পার্ক চলচ্চিত্রে দেখা যায় বিজ্ঞানীরা এম্বারে আটকানো অবস্থায় ডায়নোসরের সচল DNA উদ্ধার করতে পারে, এবং সফলভাবে একে কাজে লাগিয়ে ডায়নোসর উৎপাদন করতে পারে।
আজকের পৃথিবীতে ডাইনোসর খুব পরিচিত একটি নাম হলেও, আঠারোশ শতকের আগে ডাইনোসরের অস্তিত্ব সম্পর্কে মানুষের কোন ধারণা ছিল না। আঠারোশ শতকের দিকে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন দেশে এবং মহাদেশে হাজার হাজার জীবজন্তুর ফসিল আবিষ্কার করতে শুরু করেন। এর মধ্যে আবার ছিল দৈত্যের মত বিভিন্ন আকারের সব হাড়গোড়! জীবাশ্মবিদেরা মহা মুশকিলে পড়ে গেলেন। পূর্বপরিচিত কোন প্রাণীর সাথেই এদের কোন মিল নেই। তাঁরা ভাবতে শুরু করলেন, এগুলো কোথা থেকে এলো? এসব ভয়ঙ্কর জন্তুদের উদ্ভব ঘটেছিল কিভাবে? কত আগে? কেনই বা তারা উধাও হয়ে গেল?