মহাদেশ ভাঙা গড়ার ঘটনাকে বলা হয় পাত সঞ্চালন বা প্লেট টেকটনিক্স। পৃথিবীর ৭ টি মহাদেশ ক্রমাগতভাবে বদলে যাচ্ছে, অনবরত পরিবর্তিত হচ্ছে আমাদের পৃথিবীর চেহারা, সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন ভূখন্ড, পর্বতমালা, মহাসমুদ্র, মহাদেশ আর সেই সাথে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত বা সুনামির মত ভয়ংকর সব প্রাকৃতিক ধ্বংসযজ্ঞ। আজকে মহাদেশগুলোকে যেখানে দেখছেন তার কিছুই আগে এরকম ছিলনা, আমরা আজকে যাকে ভাবি ‘এখানে’ তা কিন্তু এখানে ছিল না, ছিল অন্য কোন খানে আর ভবিষ্যতেও 'এখানে' থাকবেনা। অর্থাৎ, এই যে আপনি, আমি যে মাটির উপর দাঁড়িয়ে আছি তা স্থির নয় - এই বিশাল মহাদেশগুলোকে জগদ্দল, নিরেট মনে হলেও, সবগুলো মহাদেশ সরছে খুব ধীরে - আমাদের আঙ্গুলের নখ যে-গতিতে বাড়ে ঠিক সেরকম ধীর গতিতে। আর তাদের এই ধীর কিন্তু পরাক্রমশালী সঞ্চালন থেকেই, গত প্রায় তিনশ’ কোটি বছর ধরে মহাদেশগুলো বারবার এক সাথে হয়ে গড়েছে সুপার-কন্টিনেন্ট বা সুপার মহাদেশ এবং তারপর এক সময় আবার আলাদা হয়ে গিয়ে তৈরি করেছে আজকের মত আলাদা আলাদা মহাদেশ, মহাসমুদ্র। আর সেই মহাদেশ ভাঙ্গা গড়ার প্রক্রিয়া ঘটে চলেছে আজও, একই গতিতে। থিংক ভিডিওতে আমরা জানবো মহাদেশের এই রূপ বদলের কাহিনি থিংকের বন্ধু ভূবিজ্ঞানী এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইডের আর্থ সাইন্সের প্রফেসর ডঃ নাইজেল হিউসের সাথে।
জিল্যাণ্ডিয়া: হারিয়ে যাওয়া যে মহাদেশ খুঁজে পেতে পৌনে চারশ বছর লেগেছে
প্লেট টেকটনিক তত্ত্ব ও পাত সঞ্চালন কাকে বলে? মহাদেশ কীভাবে ভাঙছে? মহাদেশ কীভাবে ভাঙছে, গড়ছে?মহাদেশ ভাঙা গড়ার ঘটনাকে বলা হয় পাত সঞ্চালন বা প্লেট টেকটনিক্স। পৃথিবীর ৭ টি মহাদেশ ক্রমাগতভাবে বদলে যাচ্ছে। মহাদেশগুলো শুধু পরস্পর থেকে দূরে সরেই যায়নি। কখনো কখনো তারা পরস্পরের সাথে ধাক্কাও খেয়েছিল এবং যখন সেটি ঘটেছিল উর্ধমুখী সুবিশাল আর সুউচ্চ পর্বতমালার সৃষ্টি হয়েছিল। ঠিক এভাবে হিমালয় পর্বতমালার সৃষ্টি হয়েছিল: যখন ভারত এসে এশিয়ার সাথে ধাক্কা খেয়েছিল।
এই ভাঙ্গন প্রক্রিয়াটি প্রায়ই ভূকম্পন ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত সাথে নিয়ে ঘটতে পারে। পেরেজ ডায়াজ-এর মতে, পূর্ব আফ্রিকান রিফটের ক্ষেত্রে লিথোস্ফিয়ারের নিম্নাংশের বিশাল ভূত্বকের আবরণটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে যার ফলে এটি সম্প্রসারিত হয়ে ফাটল তৈরি করছে।